পরীক্ষার চাপ সামলাতে ও দীর্ঘ সময় জেগে থাকার জন্য, জঙ্গিদের ব্যবহত ওষুধ নিতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা

ছাত্রদের এই প্রবণতা চিকিত্সকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, যারা এই বড়িগুলির নিয়েছে সেই সকল ছাত্রদের হিতে বিপরীত হওয়া বা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকেরা।

 

deblina dey | Published : Feb 19, 2024 7:27 AM IST

ছাত্রদের পরীক্ষার চাপের ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ উত্তরপ্রদেশের কিছু ছাত্র পরীক্ষার চাপ সামলানোর জন্য, দীর্ঘসময় পর্যন্ত জেগে থাকার জন্য সাধারণত জঙ্গিরা যে ওষুধ খায় তা নেওয়া শুরু করেছে। ছাত্রদের এই প্রবণতা চিকিত্সকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, যারা এই বড়িগুলির নিয়েছে সেই সকল ছাত্রদের হিতে বিপরীত হওয়া বা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকেরা।

মার্চ মাসে বা এপ্রিলে শুরু হতে পাতে পরীক্ষা। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ এবং চাপের মধ্যে আছে। ভাল পারফর্ম করার চাপে তাই মরিয়া পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যায়, কিছু ছাত্র জেগে থাকার এবং পড়াশোনা করার জন্য চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল যখন প্রাজক্তা স্বরূপ নামে একজন ছাত্রী তার ক্লাস টেন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যগত সমস্যা কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতে জেগে থাকা এবং পড়াশুনা করার জন্য তিনি এই পিলস খেয়েছিলেন বলে চিকিত্সকরা আতঙ্কিত হয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই পথ বেছে নেওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেছে। যেখানে তারা এই সময় ঘুম এড়াতে জঙ্গিদের ব্যবহৃত বড়িগুলির দিকে ঝুঁকছে। এই বড়িগুলি মানুষকে ৪০ ঘন্টা পর্যন্ত জাগ্রত রাখতে পারে, তেমনি হঠাত নার্ভাস সিস্টেম ডেমেজও করে দিতে পারে।

ডক্টর আর কে সাক্সেনা, এই ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞ, প্রকাশ করেছেন যে এই বড়িগুলি প্রথম ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল। যদিও এই বড়িগুলি বৈধভাবে বাজারে পাওয়া যায় না, তবে এগুলি প্রায়শই পাচার করা হয়, যা জেগে থাকার সহজ উপায়।

প্রোভিজিল ব্র্যান্ড নামে বাজারজাত করা মোডাফিনিল ওষুধটি প্রাথমিকভাবে নারকোলেপসি, শিফ্ট ওয়ার্ক স্লিপ ডিসঅর্ডার, ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া, এবং অত্যধিক দিনের ঘুমের কারণে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত অবস্থার জন্য নির্ধারিত। চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই 'চুনিয়া', 'মিথি'র মতো কোড নামে বিক্রি করা হয়।

চিকিৎসকদের মতে, "এই ওষুধ খাওয়ার ফলে বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, বিশেষ করে যখন প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন খেলে যেমন হয়, তেমনটাই প্রজক্তার পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছিল।

Share this article
click me!