বৃহস্পতিবার ফের গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সকেত গোখলে। দিল্লী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। গ্রেপ্তার করে তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় আহমেদাবাদে।
বৃহস্পতিবার ফের গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সকেত গোখলে। দিল্লী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। গ্রেপ্তার করে তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় আহমেদাবাদে। গত এক মাসে এই নিয়ে দু দু বার গ্রেপ্তার হলেন তিনি। দিল্লী থেকে সড়কপথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গুজরাটে।
চলতি মাসের শুরুতেই সকেত গোখলে একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে। মরবি ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর, মোদী স্বয়ং পরিস্থিতি সামলাতে ছুতে যান ঘটনাস্থলে । কিন্তু সকেত গোখলের টুইটে মোদির এই পরিদর্শন নিয়ে বেশ কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান দেওয়া হয় যা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। বিজেপি কর্তৃক এই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করে বলা হয় যে এই টুইট সম্পূর্ণ ভুল তথ্য প্রদান করছে।
এর আগেও রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল গুজরাট পুলিশ। রাজাস্থান পুলিশকে কোনোরকম কোনো ইঙ্গিত না দিয়েই সন্তর্পনে ৬ ই ডিসেম্বর এই কাজ সাড়ে গুজরাট পুলিশ। তারপর তাকে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হলে পরবর্তীকালে আদালতে মঞ্জুর হয় তার বেল। ৮ ই ডিসেম্বর ছাড়া পেয়ে যান তিনি। সেদিনই ফের ভিটাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় অন্য একটি কেসে। তাতেও তিনি বেল পেয়ে যান ৯ ই ডিসেম্বর। দ্বিতীয়বার গোখলেকে গ্রেপ্তার করার পরই তৃণমূলের ৫ জন সংসদ নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত নালিশ জানায় বিজেপির বিরুদ্ধে। তারা বলেন যে গোখলের সঙ্গে যদি এমন বলতে থাকে তাহলে তারা আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। তৃণমূলের মুখপাত্রের প্রতি হাওয়া অন্যায়ের বিচার চাইতেই মূলত দ্বারস্থ হন তারা ইলেকশন কমিশনারের প্রধানের কাছে। তৃণমূল সংসদ সৌগত রায় দাবি করেন যে গোখলের বিরুদ্ধে ১২৫ নং ধারায় যে মামলা রুজু হয়েছে তা একেবারেই গোখলের টুইটের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বিজেপি অন্যায়ভাবে গোখেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।