প্রাথমিকভাবে প্রধানবিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ আবেদনকারীদের প্রতিনিধি আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট যেতে বলেছিল।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে ত্রিপুরা পুলিশের এফআইআর বাতিলের দাবিতে আর্জি। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ত্রিপুরার হিংসার (Tripura Violence) ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেওয়া সংক্রান্ত সাংবাদিক শ্যাম মীরা সিং ও অন্য দুজনের একটি আবেদন শুনতি রাজি হয়েছে। শ্যাম মীরা সিং ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনসার ইন্দোরি (ন্যাশানাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন) ও মুকেশ (পিপিলস ইউনিয়ন অফ সিভিল লিবার্টিজ) একটি আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁরা দুজনেই একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল বা সত্য অনুসন্ধানকারী দলের অংশ হিসেবে সেই সময় ত্রিপুরা সফর করেছিলেন।
প্রাথমিকভাবে প্রধানবিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ আবেদনকারীদের প্রতিনিধি আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট যেতে বলেছিল। ত্রিপুরার আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে কেন সুপ্রিম কোর্টে এসেছেন - তাও জানতে চেয়েছিলেন। কতখন প্রশ্ন ভূষণ জানিয়েছিলেন তাঁদের প্রশ্ন ইউএপিএ ধারা নিয়ে। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনতে রাজি হয়েছে।
বিচারপতি এস বোপান্না ও হিমা কোহলির বেঞ্চে প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন, আবেদনকারীরা UAPAএর কিছু অপব্যবহৃত ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছিলেন, বেআইনি কার্যকলাপের বিস্তৃত সংজ্ঞাকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁর মক্কেলরা। আবেদনকারীর বক্তব্য অনুসারে বর্তমান পিটিশনটি ২০১২ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ত্রিপুরায় মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে সংবাদিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে দায়ের করা হয়েছে।
2 women Journalist: ত্রিপুরায় 'সাম্প্রদায়িক বিষ' ছড়ানোর অভিযোগ, অসম থেকে গ্রেফতার ২ মহিলা সাংবাদিক
Rajnath Singh: IDSA এর সঙ্গে জুড়ল মনোহর পারিক্করের নাম, উদ্বোধনে রাজনাথ ফিরে গেলেন অতীতে
Delhi Pollution: দিল্লির বায়ু দূষণ মোকাবিলায় কড়া সুপ্রিম কোর্ট, একগুচ্ছ নির্দেশ কেন্দ্রকে
এই আবদনে আরও বলা হয়েছে, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ এর ধারার ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বা পাব্লিক ডোমেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হিংসার বিষয়ে তথ্য সামনে আনার চেষ্টা করছে তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কিত তথ্যকে একচেটিয়া করার জন্য ত্রিপুরার সরকার এই প্রচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ত্রিপুরা পুলিশ ইউএপিএ-র অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য একজন সাংবাদিক ও অন্যান্য সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর বিরুদ্ধেই মুকেশ, আনসারুল হক আনসারি ও শ্যাম মীরা সিং - তাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত ফার্স ইনফরনেশন রিপোর্ট বা এফআইআর বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারী শ্যাম মীরা সিং জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় যখন হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছিলেন ত্রিপুরা জ্বলছে। এই একই কথা ত্রিপুরা হাইকোর্টও বলেছিল। কিন্তু একজন সাংবাদিক যখন এই কথা বলে তখন তার বিরুদ্ধে কেন এইএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়? এই দেশের গণতাবন্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায় একজন আইপিএস অফিসার সাংবাদিক,সমাজকর্মী এমনকি শিশুদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করেছেন।
ত্রিপুরা পুলিশ গত এক সপ্তাহে ১০০টিরও বেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণের জন্য টুইটার ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ত্রিপুরা পুলিশের দাবি সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতেই একাধিক ভূয়ো পোস্ট ও উস্কানিমূলক বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।