তিন দিনের মাথায় ফের গুলি চলল দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। রবিবার রাতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর গেট-এর সামনে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, একটি লাল স্কুটি-তে চড়ে এসে পাঁচ নম্বর গেট-এর দুই ব্যক্তি শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। যদিও গুলি চালানোর ঘটনায় কেই হতাহত হয়নি।
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের সংগঠন জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে লাল স্কুটি-র কথা জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী স্কুটি-র শেষ চারটি নম্বর ১৫৩২।
ওখলা-র প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মহম্মদ খানের দাবি, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। গুলি চালানোর ঘটনায় ফের এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা তাড়া করে তাদের সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভও দেখায় পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের অবশ্য দাবি, এই ধরনের ঘটনা তাঁদের আন্দোলনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরচিয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রথমবার জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এক কিশোর নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ঘটনায় এক পড়ুয়া আহত হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। এর দু'দিন পর ১ ফেব্রুয়ারি কপিল গুজ্জর নামে এক যুবক শাহিন বাগ আন্দোলন চত্বরে শূন্যে গুলি চালায়। তার আগে গত ২৮ জানুয়ারি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তি শাহিনবাগ-এর আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়েছিল।
এই ধরনের পরের পর ঘটনা ঘটতে থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য
রবিবারই দিল্লির দক্ষিণপূর্ব এলাকার ডিসিপি চিন্ময় বিসওয়ালকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।