গত ৭ মে বিশাখাপত্তনমে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডের কারখানায় বিষাক্ত পলিস্টাইরিন গ্যাল লিক প্রাণ কেড়েছিল ১২ জনের। সেই স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি বিশাখাপত্তনমবাসীর। এরমধ্যেই শহরের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্টে এবার গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটল। যাতে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে জওহর লাল নেহরু ফার্মা সিটিতে সেইনর লাইফ সায়ান্সেস ফার্মা কোম্পানিতে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটে। সেই সময় ওষুধ কারখানাটিতে ৩০ জন কর্মী কর্মরত ছিলেন। গ্যাস শরীরে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যান ৬ জন কর্মী। তাদের হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার পর ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মৃতদের নাম নরেন্দ্র ও গৌরী শংকর। বাকি চারজনের গাজুওয়াকা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যদিও গ্যাস লিকের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। কোনও প্রযুক্তিগত কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর এবং অন্যান্য আধিকারিকরা সকালেই ঘটনাস্থলে যান ৷ কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
এদিকে পরিস্থিতি এখবন নিয়ন্ত্রণে বলে জানান হচ্ছে বিশাখাপত্তনম পুলিশের পক্ষ থেকে। পারওয়াদা থানার আধিকারিক উদয় কুমার জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। যে দুই কর্মী মারা গিয়েছেন, তাঁরা গ্যাস লিক করার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। আর কোথাও গ্যাস ছড়িয়ে পড়েনি।'
মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি ইতিমধ্যে এই ঘটনার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে কারখানা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
মাত্র কয়েকদিন আগেই, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিকের ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু এবং ১,০০০ জনের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে দুটি শিশুও ছিল। সেই ঘটনাকে রাসায়নিক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এলজি পলিমার কারখানায় সেই গ্যাস লিকের ঘটনাটি ঘটে। করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে কারখানাটি প্রায় ৪০দিন ধরে বন্ধ ছিল। তারপরে কারখানা খুলতেই বিপত্তি বাধে। এই নিয়ে গত দু'মাসে এরকম গ্যাস লিকের ঘটনা দু'বার ঘটল বিশাখাপত্তনমে।