ক্যাবিনেট সিলমোহর দিল বিতর্কিত কৃষি বিল বাতিলের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে। এই নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে মন্ত্রিসভা।
কৃষি বিল প্রত্যাহারে (Farm Law Repealed) মিলল অনুমোদন। অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। ২৪শে নভেম্বরই (November 24) বিতর্কিত তিন কৃষি বিল (farm laws) বাতিলে অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই ক্যাবিনেট সিলমোহর দিল বিতর্কিত কৃষি বিল বাতিলের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে। এই নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকেই কৃষি বিল প্রত্যাহার করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১-এর লক্ষ্য হল গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে পাস করা তিনটি বিল তুলে দেওয়া। এই তিনটি বিল হল, Farmers' Produce Trade and Commerce (Promotion and Facilitation) Act, 2020, Farmers' (Empowerment and Protection) Agreement on Price Assurance, Farm Services Act, 2020 and Essential Commodities (Amendment) Act, 2020।
তিনটি কৃষি আইন বাতিলের বিলটি আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয় এবং অনুমোদনের স্ট্যাম্প দেওয়া হয়। বিতর্কিত তিনটি কৃষি বিল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরতে রাজি নন বিক্ষোভরত কৃষকরা। ২০২০ সালে সংসদের বাদল অধিবেশনের সময় পাস করা হয় তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ২৯শে নভেম্বর শুরু হতে চলেছে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার এবং প্রয়োজনীয় বিল আনার ঘোষণার কয়েকদিন পরে বিলটি অনুমোদিত হয়েছিল।
প্রায় এক বছর ধরে এই সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী প্রায় ৪০টি কৃষক ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল এই বিলগুলি বাতিল করা। জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন ঘরে ফিরে যান বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিল করবে কেন্দ্র। মোদী বলেন কেন্দ্র সরকার কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বিক্ষোভ থামানো হোক। ঘরে ফিরে যান প্রত্যেক কৃষক। এদিন মোদী আশ্বাস দিয়েছেন তিনটি কৃষি আইনই বাতিল করবে কেন্দ্র।
মোদী বলেন কৃষকদের স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্র। কৃষকদের উপযুক্ত মূল্যে বীজ এবং মাইক্রো-সেচ, ২২ কোটি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের মতো সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজ করেছে কেন্দ্র। এ ধরনের বিষয়গুলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। শক্তিশালী করা হয়েছে ফসল বিমা যোজনাকে। আরও বেশি সংখ্যক কৃষক এর আওতায় এসেছে।
তবে যতক্ষণ না পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হচ্ছে কৃষি আইন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কৃষকরা। জানানো হয়েছে, আন্দোলন ছেড়ে এখনই পিছু হটছে না তারাও। এমনকী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আগামী আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসাথে তিন কৃষি আইন বাতিল ছাড়াও কৃষকদের তরফে থাকা অন্যান্য দাবি নিয়ে নতুন করে আওয়াজ তোলা হয়েছে তাদের তরফে।