আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক নয়ছয় এবং মোদী সরকারের অধীনে ভারতের ‘দাঙ্গা’ সংক্রান্ত ডকুমেন্টরি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দলের প্রধান সেনাপতি।
প্রায় এক দশক ধরে শেয়ারের দরে কারচুপি করে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা, এই মর্মে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করেছিল আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। অন্যদিকে ভারতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকাকালীন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে কোন কোন দাঙ্গা ঘটেছিল এবং তাতে শাসকের মদত ছিল কিনা, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে তথ্যচিত্র বের করেছে বিবিসি চ্যানেল। এই দুইয়ের চাপে বারবার বিরোধীদের নিশানায় পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে। অনেকদিন এই বিষয়ে চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুললেন দলের প্রধান সেনাপতি অমিত শাহ।
আদানি-কাণ্ডে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং স্বজনপোষণের দায় চাপিয়েছে সংসদের বিরোধী দলগুলি। এই বিশাল রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে প্রথম থেকে কার্যত নীরব ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু, অবশেষে এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি জোর গলায় স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ‘বিজেপির লুকানোর বা ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।’ তবে, যেহেতু এই বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা তাঁর পক্ষে উপযুক্ত হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হিন্ডেনবার্গ সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট এবং বিবিসি তথ্যচিত্রে দেখানো বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘হাজার ষড়যন্ত্রও সত্যের ক্ষতি করতে পারে না। সত্য সূর্যের মতো উজ্জ্বল। বিরোধীরা ২০০২ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে এবং প্রতিবার তিনি নিজের সততার জোরে আরও বলিয়ান হয়ে উঠেছেন। প্রত্যেক বার তিনি মানুষের মধ্যে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করে আবির্ভূত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন-
মেয়ের বিয়ে নিয়ে বাবাদের দুশ্চিন্তা? LIC-তে বিনিয়োগ করে ফেরত পেতে পারেন মোট ২৭ লক্ষ টাকা
ভালোবাসা দিবসেই শহীদ হয়েছিলেন পুলওয়ামায় কর্তব্যরত ভারতীয় সেনারা, তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
দোকানে কিছু কিনতে গেলেই ফোন নম্বর দিয়ে ফেলবেন না, সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর