মেয়ের বিয়ের খরচ নিয়ে বাবাদের দুশ্চিন্তা? LIC-তে বিনিয়োগ করে ফেরত পেতে পারেন মোট ২৭ লক্ষ টাকা

২৫ বছর ধরে টাকা না জমাতে চাইলে কম দিনের জন্যেও ভিন্ন প্ল্যান রেখেছে LIC। জেনে নিন বিস্তারিত। 

Web Desk - ANB | Published : Feb 14, 2023 11:30 AM IST

ভারতের প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা ‘লাইফ ইনসুরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’। LIC-তে টাকা রেখে ভালো প্রত্যাবর্তন পান বিনিয়োগকারীরা। বিমাকারীর মৃত্যু হলে বেশ কিছু সুবিধাও দিয়ে থাকে এই সংস্থা। সমাজের ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের স্কিম রেখেছে এই সংস্থা। মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য উপযুক্ত পলিসি অফার করে থাকে LIC। LIC-তে এমন পলিসিও রয়েছে যার দ্বারা নিজের সন্তানের পড়াশোনার খরচ বা যেকোনও বড় খরচ করা যেতে পারে, তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিয়েও। এরকমই একটি স্কিম হল ‘এলআইসি কন্যাদান পলিসি’।

এলআইসি কন্যাদান পলিসি থাকলে মেয়ের বিয়ের খরচ নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাই করতে হবে না গ্রাহককে। বিয়ের খরচের দায়িত্ব নেবে LIC। এই কন্যাদান পলিসি বিনিয়োগকারীর মেয়ের বিবাহ ও পড়াশোনার খরচ বহন করবে। তার জন্য আপনাকে এই পলিসিতে অল্প অল্প করেই টাকা জমাতে হবে। এই পলিসির মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী পেতে পারেন মোট ২৭ লক্ষ টাকা।

LIC কন্যাদান পলিসির মেয়াদ মোট ২৫ বছর। আপনাকে প্রতি মাসে মাত্র ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে জমাতে হবে। এর অর্থ হল ২২ বছর ধরে প্রত্যেক দিন ১২১ টাকা করে জমাতে হবে এই পলিসি হোল্ডারদের। এই পলিসির ক্ষেত্রে তিন দিনের লক ইন পিরিয়ড রয়েছে। এই পলিসি করার ২৫ বছর পরেই আপনাকে ২৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে একবারে। এই বিমার সর্বনিম্ন মেয়াদ হল ১৩ বছর, অর্থাৎ, ২৫ বছরের বদলে কোনও ব্যক্তি সবচেয়ে কম ১৩ বছরের জন্যেও টাকা জমাতে পারেন। আর সবচেয়ে বেশি সময় হল ২৫ বছর। এতদিন ধরে এই বিমা চালানো যেতে পারে। এই পলিসির অধীনে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা পেতে পারেন পলিসি হোল্ডাররা।

এই পলিসিতে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য কন্যা সন্তানের বাবার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। আর মেয়ের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১ বছর। আর মেয়ের বয়সের উপর নির্ভর করে আপনি পলিসির মেয়াদ নির্বাচন করতে পারেন। মেয়ের বয়স ২৫ হলেই এই টাকা হস্তান্তর হবে। মেয়ের উচ্চশিক্ষা বা বিয়েতে এই টাকা কাজে লাগাতে পারেন পলিসি হোল্ডাররা।

আরও পড়ুন-
দোকানে কিছু কিনতে গেলেই ফোন নম্বর দিয়ে ফেলবেন না, সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর
মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৩৬ হাজার, অথচ কবর দেওয়া গেছে প্রায় ৭ হাজার জনকে, তুরস্কে কংক্রিটের পাশে শবদেহের স্তূপ

Share this article
click me!