স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাকে ভারত কীভাবে দেখবে, সেটিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), জানালেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট 2023-এর সমাবেশে বুধবার বক্তব্য রাখলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর । তাঁর বক্তব্যে প্রকাশ পেল, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাকে ভবিষ্যৎকালে ভারত কীভাবে দেখবে, সেটার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। এদিন মন্ত্রী বলেন, ইলন মাস্ক বা স্যাম অল্টম্যানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিবর্তে বাস্তব জীবনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত AI ব্যবহার করছে।
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট-এর সমাবেশে বলেন যে, ভারত সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কোনও খারাপ কাজ করতে চাইছে না । বরং তার পরিবর্তে, ভারত সরকারের উদ্দেশ্য হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতাকে ভালো কাজে ব্যবহার করা।
-
চন্দ্রশেখর আরও জানিয়েছেন, “ভারত ২০২১ সাল থেকে এটা বলে আসছে। আমরা যখন উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির সম্প্রসারণের দিকে তাকাই, তখন সুরক্ষার ওপর আলোচনা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারত AI দ্বারা অতিমাত্রায় আচ্ছন্ন হয়ে একে দানবাকৃতি দিতে চায় না। এটাকে শুধুমাত্র গোপনীয়তা এবং বিশ্বাসের আঙ্গিক থেকে দেখুন। আমরা AI কে আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার হিসাবে বিবেচনা করি । আমরা এটিকে ডিজিটাল অবকাঠামো এবং অর্থনীতির গতিশক্তি হিসাবে বিবেচনা করি, এর সাথে সাথে আমরা বিশ্বাস করি যে, AI এর সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগানোর জন্য অবশ্যই একটি কেস তৈরি করতে হবে, কিন্তু একই সঙ্গে নিরাপত্তাও বজায় রাখতে হবে।”