১০ তারিখেই উত্তরপ্রদেশে রয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। এদিকে তার আগেই উত্তরপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে অখিলেশের হয়ে জোরালো প্রচার করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মমতার উপস্থিততেই উত্তরপ্রদেশে আরও কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এদিকে ১০ তারিখেই উত্তরপ্রদেশে রয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। এদিকে তার আগেই উত্তরপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে অখিলেশের হয়ে করলেন জোরালো প্রচার। দিলেন বাংলায় বিজেপির বুকে ঝাঁকুনি ধরানো 'খেলা হবে' স্লোগান। বাংলার বিধানসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে অক্সিজেনের মতো কাজ করেছিল এই স্লোগান৷বাংলার ভোট শেষে এই স্লোগান শোনা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে৷ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও সরাতে ডাক দিয়েছেন ‘খেলা হবে’-এর। এবার মমতার উপস্থিতিতে ভোটের মুখে যেন নতুন করে অক্সিজেন পেল অখিলেশ শিবির।
এদিকে লখনৌতে পৌঁছেই যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় মমতাকে। উত্তরপ্রদেশের বর্তমান সরকার যেভাবে কাজ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি৷ বিজেপিকে হারাতে অখিলেশের হাত শক্ত করাই যে তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্যে সে কথাও বুঝিয়ে দেন। এমনকী রাজ্যে সমস্ত মানুষকে অখিলেশের সমর্থনে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন জানান তিনি। এদিনের নির্বাচনী সভা থেকেই মমতা বলেন, "বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে৷ মানুষের কন্ঠরোধ করে৷ সমাজকর্মীদের কথা বলতে দেয় না৷ পড়ুয়াদরে বাক-স্বাধীনতা হরণ করে৷ এই সরকারকে ক্ষমা করা উচিত নয়৷ তাঁর বিশ্বাস উত্তরপ্রদেশে অখিলেশরাই জিতবে, বিজেপি হারবে।"
এদিকে বাংলার শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ‘অব কি বার দুশো’ পার স্লোগান তুলেছিল বিজেপি। এবার তাদেরই কটাক্ষ করে নতুন সুর শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে গতকাল মমতার বার্তা, ”অব কি বার অখিলেশ তিনশো পার। অব কি বার অখিলেশজি কি সরকার।” যা নিয়ে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গতকাল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের কাছে মমতা বিশেষ আবেদন রেখে বলেন, “সবাই অখিলেশকে ভোট দিন। বাংলা যখন পেরেছে, উত্তরপ্রদেশও পারবে। ভোট ভাগাভাগি হবে না। বাংলাতেও বিজেপি ভোট ভাগাভাগির চেষ্টা করেছিল, পারেনি। আমার বিশ্বাস এখানেও পারবে না। সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন আর কাউকে ভোট দেবেন না। সকলে মিলে অখিলেশজিকে ভোট দিন। আমরা সকলে আছি অখিলেশের সঙ্গে।” এমতবস্থায় এবার যোগী রাজ্যের ভোট বাক্সে মমতার এই ভোট প্রচার কতটা ছাপ ফেলে এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- রাতের রাস্তায় পঞ্জাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কনভয় থামিয়ে আহতদের প্রাণ বাঁচালেন সোনু সুদ
আরও পড়ুন- 'সবই হচ্ছে একটা পার্টির জন্য', সুষ্ঠু পুরভোটের দাবিতে কমিশনে গিয়ে তোপ বিজেপির