মানুষের মাংস দিয়ে নৈশভোজের প্রস্তুতি, রান্নার পরেও বাধ সাধল স্ত্রী

  • মানুষের মাংস  দিয়ে নৈশভোজের প্রস্তুতি
  • হাত আর আঙুল কেটে চলছিল রান্না
  • শ্মশান থেকে যোগাড় করা হয়েছিল মাংস 
  • অভিযুক্তকে আটক করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ 

Asianet News Bangla | Published : Mar 10, 2020 11:06 AM IST

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর একটি কবিতায় উপমা হিসেবে একটি লাইন ব্যবহার করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো খেতে গরীবের রক্ত। কিন্তু এতদিন পরে অনেকটা সেরকমই ছবি দেখা গেল উত্তর প্রদেশে। যদিও সেখানে গরীবের রক্ত খাওয়ার কোনও প্রক্রিয়া চলছি না। তবে সেখানে একজন মানুষকে দেখা গিয়েছিল  অন্য একজন মৃত মানুষের মাংস রান্না করতে। গরম তেলে তখন ভাজা হচ্ছিল কোনও মৃত মানুষের হাত আর আঙুল। পাশাপাশি চলছিল রান্নার প্রস্তুতি। জমিয়ে নৈশ ভোজের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল উত্তর প্রদেশের বিজনোরের বাসিন্দা সঞ্জয়।  কিন্তু এমন সময় ঘরে চলে আসেন সঞ্জয়ের স্ত্রী। কড়াইয়ে মৃত মানুষের হাত আর কাটা আঙুল দেখতে পান স্ত্রী। ঘেন্না আর আতঙ্কে একছুটে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। চিৎকার করে ডেকে আনেন প্রতিবেশীদের। প্রতিবেশীরা  তার বাড়িরই একটি ঘরে আটকে রাখে সঞ্জয়কে। ডাকা হয় পুলিশ। স্থানীয়দের চাপে পড়ে সেখানই রান্না থামাতে বাধ্য হয় সঞ্জয়। 

আরও পড়ুনঃ জ্যোতিরাদিত্যর দলত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের প্রতি সিন্ধিয়া পরিবারের আনুগত্য শেষ

ভয়ঙ্কর এই ঘটনার সাক্ষী ছিল উত্তর প্রদেশের বিজনোরের টিক্কোপুর গ্রাম। সোমবার রাতের দিকে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় একটি শ্মশানে গিয়েছিল। সেখান থেকে একটি প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে করে মৃত মানুষের মাংস সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। তারপর ঘরে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই রান্না শুরু করে। সঞ্জয় মানসিকভারসাম্যহানী কিনা তাও থকিয়ে দেখছে পুলিশ। তার সাম্প্রতিক ইতিহাস নিয়েও শুরু হয়েগেছে নাড়াচাড়া। পুলিশ জানতে পেরেছে কিছুদিন আগেই সঞ্জয় তার বাবাকে ব্যাপক মারধর করে। বর্তমানে পুলিশ আটক করেছে সঞ্জয়কে।  চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। 

আরও পড়ুবঃ কী করণে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন জ্যোতিরাদিত্য, চলছে উত্তর খোঁজার পালা

স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক আর সি শর্মা জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন তাঁরা। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু মাংস। যে শ্মশান থেকে সঞ্জয় মানুষের মাংস নিয়ে এসেছিল সেখানেও গিয়েছিলেন তাঁরা। শেষকৃত্যের পর অনেকেই সেখানে আধপোড়া দেহ পুঁতে দেয় বলেও জানিয়েছন তিনি। তবে সঞ্জয়কে মানুষের মাংস রান্না করতে দেখার পর আর ঘরে ফিরতে নারাজ তার স্ত্রী। সঞ্জয় অমানবিক এই অভিযোগ তুলে ঘরও করতে চান না তার সঙ্গে। 

Share this article
click me!