রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র ও উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল লাখিমপুর খেরি এলাকা।
উত্তর প্রদেশের হিংসা (UP Violence) নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র (Union Minister Ajoy Mishra)। তিনি নিজেই একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, প্রতিবাদী কৃষকদের (Protester Frmer) মধ্যে কিছু অসামাজিক উপাদান রয়েছে। তারা তিন বিজেপি (BJP) কর্মী ও একজন গাড়ির চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অজয় মিশ্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, কৃষকদেরই গাড়িতে চাপা পড়ে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার ভিডিও রয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র ও উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল লাখিমপুর খেরি এলাকা। কয়েক হাজার কৃষক প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল। তারা অনুষ্ঠান বন্ধ করে উদ্যোগ নিয়েছিল। তাতেই গোটা এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ কৃষকসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকার গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিত্রের গাড়িতে চাপা পড়ে কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন তাঁর ছেলে সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলই না। একই সঙ্গে তিনিও সেইসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন ঘটনাটি যখন ঘটেছিল তখন কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। তাঁরা লাখিমপুর খেরির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। তিনি আরও বলেন কৃষকরাই তাদের ওপর চড়াও হয়। কৃষকরা পাথর ছোঁড়ে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কৃষকরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বাতিল করারও দাবি জানিয়েছিলেন কৃষকরা। সেইমত একাধিক জায়গা বিক্ষোভ দেখান হয়। কিন্তু এই বিক্ষোভে বাধা দেয় বিজেপি। কিন্তু তারপরই কৃষকরা ফিরে আসতে উদ্যোগ নেয়। অভিযোগ সেইসমই তিনটি বেপরোয়া গাড়ি পিষে দেয় কৃষকদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক কৃষকদের। অন্যজনকে হাতপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপরই উত্তেজিত কৃষকরা পরপর তিনটি গাড়িতে আগুন লাগিয়েদেয়। কৃষকরা জানিয়েছে গাড়ির ধাক্কায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত আজ রাতেই একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চন্দ্রশেখর আদাজ ও ভীম আর্মি লাখিমপুরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।