গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১১০ জনয যার জন্য রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবেন তা নিয়ে এখন দিশেহারা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর মধ্যেই এসে পৌঁছল দুসংবাদ। পিতৃবিয়োগ হল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: দেশে ফের আক্রান্ত করোনা যোদ্ধারা, এবার বেঙ্গালুরুতে হামলা স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের উপর
সোমবারা সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যোগী আদিত্যনাথের বাবা আনন্দ সিং বিস্ত। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অশতীপর বৃদ্ধের চিকিৎসা চলছিল দিল্লির আল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে। সেখানেই সোমবার সকাল ১০.৪৪ মিনিটে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১৫ মার্চ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর কিডনি ও লিভারে সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : দেশে আরও বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ, ইজ্ঞিত দিল বিমান সংস্থাগুলিকে দেওয়া ডিজিসিএ-র নির্দেশ
উত্তরখণ্ডের যমকেশ্বর এলাকার পা়্চুর গ্রামে বাস করতেন যোগী আদিত্যনাথের বাবা আনন্দ সিং বিস্ত। তিনি বন বিভাগে কর্মরত ছিলেন, এবং রেঞ্জার পদ থাকাকালীন ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এইমসে ভর্তি হওয়ার আগে তীব্র ডিহাইড্রেশনের কারণে বেশ কিছুদিন দেরাদুনের এক হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের বাবাকে।
সোমবার সকালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবনিশ কুমার অবস্থি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাবার প্রয়াণের খবর জানান। তিনি এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন বাবার মৃত্যুর খবর যখন আসে সেই সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে এক বিশেষ বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক থামাননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
শোনা যাচ্ছে তাঁর শবদেহ দিল্লীর এইমস থেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। এবং সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।