রাজস্থানে এবার প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বও, গেহলট-বসুন্ধরা আঁতাত নিয়ে আক্রমণাত্মক পাইলট

  • অশোক গেহলট সরকারকে সমর্থন করার জন্য বার্তা
  • রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের তির
  • জোটসঙ্গীর নিশানায় এবার বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া
  • শচীন দলে আসুন বিজেপি চাইলেও নীরব রয়েছেন বসুন্ধরা

Asianet News Bangla | Published : Jul 17, 2020 3:06 PM IST / Updated: Jul 17 2020, 08:46 PM IST

বসুন্ধরা রাজের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে রাজস্থানে ২০১৮ তে সরকার গঠন করেছিলেন অশোক গেহলট। তবে ইতিমধ্যে অশোক গেহলট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েই রাজস্থানে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের কোন্দল। তবে কংগ্রেসের পাশাপাশি এবার গেরুয়া শিবিরেরও অন্তর্দ্বন্দ্বও কিন্তু সামনে আসতে শুরু করেছে, অন্তত সেই দিকেই নির্দেশ করছে পদ্মিশিবিরের জোটসঙ্গীর চাঞ্চল্যকর দাবি।

 মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে  সমর্থন করার জন্য নাকি কংগ্রেস বিধায়কদের বার্তা দিচ্ছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। বিজেপির জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির নেতা হনুমান বেলিওয়াল ট্যুইট করে এমনটাই দাবি করছেন। তিনি লেখেন , “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া কংগ্রেসের সব বিধায়ককে ফোন করে অশোক গেহলটের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। সিকার আর নগৌরের সব জাট বিধায়ককে ফোন করে তিনি বলেছেন, তাঁরা যেন শচীন পাইলটের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন।” তবে প্রাক্তন বিজেপি নেতা বেনিওয়াল বসুন্ধরার সমালোচক হিসেবেই পরিচিত। ২০১৮-এর বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই বিজেপি ছেড়ে নিজের দল গড়েন তিনি।

বেনিওয়ালের এই মন্তব্যে বিজেপি শিবির তীব্র চাপে পড়ে গিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, “আমাদের নেতারা ওঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া আমাদের শ্রদ্ধাশীল নেত্রী।” তবে রাজস্থানের এই রাজনৈতিক ডামাডোল নিয়ে অদ্ভুত ভাবে চুপ রয়েছেন বসুন্ধরা। কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকার পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতেই সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল  শিবরাজ সিংহ চৌহানকে। তেমন সক্রিয়তা তো দূর, ঢোলপুরের মহারাণী বসুন্ধরা এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্যও করছেন না। এমনকি বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি বৈঠক ঢাকলেও বসুন্ধরা জয়পুরে না এসে ঢোলপুরেই বসে থাকেন। দলের অন্য নেতাদের মতো তিনিও শচীন পাইলটকে বিজেপিতে আগাম স্বাগত জানিয়েও মুখ খোলেননি।

আরও পড়ুন: গ্যাংস্টার বিকাশের সন্ধান দেওয়ার পুরস্কার মূল্য ৫ লক্ষ পাবে কে, লোক খুঁজছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই নীরবতা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শচীনকে দলে টানতে চাইলেও তিনি কি এতে খুশি নন?  এর আসল কারণটা অবশ্য অনেকে বলছেন  বসুন্ধরার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই মরু রাজ্যে উত্থান শচীন পাইলটের। এ হেন শচীন বিজেপিতে যোগ দিলে  বসুন্ধরা যে মেনে নিতে পারবেন না, তা বলাই বাহুল্য। অন্য দিকে শচীনকে বিজেপিতে এনে সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতি যদি তৈরিও হয়ে , তা হলে তাঁকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দিতে হবে, যা সিন্ধিয়ার পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।

এদিকে অশোক গেহলটের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের অশুভ আঁতাতের অভিযোগ এনে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গেছে শচীনকে। বিজেপির সঙ্গে চক্রান্ত করে শচীন কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে, গেহলটের এই অভিযোগের জবাবে পাইটল বলেন, একদা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গেহলট ও রাজে এখন পরস্পরকে সাহায্য করে চলেছেন। বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা এই প্রসঙ্গে বসুন্ধরা রাজের সরকারি বাংলোর প্রসঙ্গও তোলেন। 

আরও পড়ুন: 'আলোচনায় কতদূর সমাধান বেরোবে কোনও গ্যারান্টি নেই', লাদাখ থেকে এবার সোজাসুজি রণহুঙ্কার রাজনাথের

রাজে-গেহলট আঁতাতের আরও এক প্রমাণ হিসেবে শচিন জানান, কংগ্রেস বসুন্ধরার খনি কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রচার করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে গেহলট ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে সেই একই পথে হেঁটে চলেছেন। এদিকে শচীন পাইলট বসুন্ধরার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও আশ্চর্যজনত ভাবে পদ্ম শিবিরের মাত্র ২ জন বিধায়ক এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপির অন্য কোনও বিধায়ক বা নেতাকে বসুন্ধরার পক্ষ নিয়ে পাইলটকে আক্রমণ করার ধারকাছ দিয়ে যেতেও দেখা যায়নি। উল্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় শচীন বন্ধনা করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। 


 

Share this article
click me!