সংক্ষিপ্ত
- গ্যাংস্টর বিকাশ দুবের মৃত্যু হয়েছে প্রকৃত এনকাউন্টারে
- কোনওরকম ভুয়ো এনকাউন্টার ঘটানো হয়নি
- সুপ্রিম কোর্টে দাবি করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
- তেলেঙ্গানা এনকাউন্টারের সঙ্গে তুলনা টানতে নারাজ
কোনও ভুয়ো এনকাউন্টার হয়নি। গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের মৃত্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এমন দাবিই করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশ ও আইন মেনে পুলিশ কাজ করেছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট জমা দিয়ে এমনটাই জানালেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের দাবি, “বিকাশ দুবের এনকাউন্টারের সঙ্গে তেলেঙ্গানার চার ধর্ষকের হত্যাকে এক করে দেখা ঠিক নয়।” তাঁদের যুক্তি, তেলেঙ্গানা প্রশাসন তো এনকাউন্টারের তদন্ত করতে কমিশন বসায়নি, কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। সোমবার ফের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, 'আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই কাজ করেছে পুলিশ। সময় দেওয়া হলে এ বিষয়ে আরও তথ্য দেওয়া হবে।' তেলেঙ্গানা এনকাউন্টারের সঙ্গে তুলনা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আরও বলে যে, তেলেঙ্গানার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত দাগী অপরাধী ছিল না। তবে উত্তরপ্রদেশে বিকাশ দুবের বিরুদ্ধে ঝুলে ছিল ৬০টির বেশি মামলা।
গত ৩ জুলাই ভোররাতে কনাপুরের বিকরু গ্রামে ৬৪টি মামলার আসামী বিকাশ দুবেকে ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল যোগী রাজ্যের আট পুলিশ কর্মীর। এরপর থেকে হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। শেষপর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির থেকে গ্রেপ্তার হয় ডন বিকাশ দুবে । কিন্ত কানপুরে আরে এসে পৌঁছয়নি সে। তার আগেই পুলিশের গাড়ির দুর্ঘটনার সুয়োগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ । আটকাতে গেলে পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে সে। পুলিশের ছোঁড়া পাল্টা গুলিতে বিকাশ দুবে খতম হয়। কিন্তু তার এনকাউন্টার নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে যোগী সরকার। সিবিআই বা এনআইএকে এই এনকাউন্টারের তদন্তভার দেওযার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার।
এদিকে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের খোঁজ দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। বিকাশকে ধরছে এমন পুরস্কার ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। শেষপর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে ধরা পড়ে বিকাশ। সেই পুরস্কার মূল্যের অর্থ কাকে দেওয়া হবে তা নিয়ে মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে এবার চিঠি দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।