গতকাল রবিবার, উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই দশম শ্রেণীর টপার প্রাচী নিগমের ওপর লাইমলাইট পড়ে। একটাই কারণ তার চেহারা। নম্বর না দেখে তাঁর চেহারা নিয়ে শুরু হয় নোংরা ট্রোলিং।
"আরে, তার এত বড় গোঁফ আছে.. ও কিভাবে মেয়ে হতে পারে? ও দেখতে হুবহু ছেলের মতো.. তাতে কী, যে ও দারুণ নম্বর পেয়েছে! ইউপি বোর্ড পরীক্ষায় টপ করেছে.. তার চেহারাটা এমন। সে কি ছেলে?" হাজারো প্রশ্ন, হাজারো ব্যঙ্গের হাসি, হাজারো জাজমেন্টাল মানুষের নজরকে একপাশে সরিয়ে কামাল করেছে প্রাচী নিগম। জানতে চাইবেন তো , যে কে সে! সে উত্তরপ্রদেশের বোর্ড টপার। যার ঝুলিতে এখল ৯৮.৫০ শতাংশ নম্বর।
গতকাল রবিবার, উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই দশম শ্রেণীর টপার প্রাচী নিগমের ওপর লাইমলাইট পড়ে। একটাই কারণ তার চেহারা। নম্বর না দেখে তাঁর চেহারা নিয়ে শুরু হয় নোংরা ট্রোলিং। জেনে রাখা ভালো যে প্রাচী ৯৮.৫০% এর দুর্দান্ত স্কোর নিয়ে ৬০০-এর মধ্যে ৫৯১ নম্বর পেয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হল প্রাচীর ভাল স্কোর, তার পড়াশুনা এবং পরিশ্রম দেখে প্রশংসা করার পরিবর্তে, সমাজের কিছু লোক তার মুখের অতিরিক্ত চুল নিয়ে মজা করাই সঙ্গত মনে করেন। তবে প্রাচীর পাশে দাঁড়ান নেটিজেনদের একাংশ। তাঁরা বলেন একটি মেয়ের শিক্ষাকে উপেক্ষা করা এবং তার চেহারার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে বিচার করা কি ঠিক?
কেন ট্রোলারদের টার্গেট টপার প্রাচী নিগম?
একজন ব্যক্তি কমেন্টে লিখেছেন এই ছবি কি আসল নাকি মিডিয়া এডিট করেছে। অন্য একজন বলেছেন যে এটি প্রাচীর মতো কম এবং প্রচারের মতো বেশি। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, এটা কি পুরুষ না নারী?
শিক্ষা ও প্রতিভার চেয়ে সৌন্দর্য কি বড়?
প্রশ্ন উঠছে প্রাচীর মুখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে সমাজের মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, কিন্তু মুখের গড়ন আর সৌন্দর্য কি শিক্ষার চেয়ে বড়? শিক্ষা ছাড়া যদি শুধু চেহারা আর ফ্যাশনে দেশ চলতে পারে তাহলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে হবে। নেটিজেনরা বলছেন আসলে এটাই সমাজের সমস্যা। কেউ কারো প্রশংসা করুক বা না করুক, সমালোচনা করতে সবাই এগিয়ে আসে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।