৮ মাস পরও হিংসায় জ্বলছে মণিপুরের মাটি, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কমান্ডোর

পুলিশ জানিয়েছে যে মৃত ব্যক্তির নাম ওয়াংখেম সোমরজিৎ, তিনি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (আইআরবি) সেনা রাজ্য পুলিশের কমান্ডো হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সোমরজিৎ ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা ছিলেন।

Parna Sengupta | Published : Jan 17, 2024 12:49 PM IST

বুধবার সকালে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে। সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা টেংনোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেহতে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়িতে হঠাৎ হামলা চালায়। যেখানে একজন কমান্ডো শহিদ হন। পাল্টা গুলি চালাতে হয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা একটি নিরাপত্তা চৌকি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে যে মৃত ব্যক্তির নাম ওয়াংখেম সোমরজিৎ, তিনি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (আইআরবি) সেনা রাজ্য পুলিশের কমান্ডো হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সোমরজিৎ ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে মোরেহ শহরের তিনটি ভিন্ন জায়গায় সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার হয়েছে। জঙ্গিরা এসবিআই মোরেহের কাছে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে বোমা ছোঁড়ে এবং গুলি চালায়, যার পরে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়।

গত বছর খুন হন এসডিপিও

গত বছরের অক্টোবরে সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) সি আনন্দ হত্যা মামলার প্রধান দুই সন্দেহভাজন ফিলিপ খংসাই এবং হেমোখোলাল মেটকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তারা দুজনই নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে, পরে পুলিশ ধাওয়া করে তাদের আটক করে।

পুলিশ জানিয়েছে যে পরে উভয়কেই মোরেহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয় যেখান থেকে তাদের নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। কুকি ইনপি টেংনোপাল (কেআইটি), চুরাচাঁদপুর জেলার আদিবাসী উপজাতীয় নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ) এবং কাংপোকপি জেলার উপজাতি ঐক্যের কমিটি (সিওটিইউ) এই দুজনকে গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছে৷

আট মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর

২০২৩ সালের মে থেকে মণিপুরে হিংসা চলছে। ৩ মে, অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম) চুরাচাঁদপুরের তোরবাং এলাকায় উপজাতি ঐক্য মিছিল করেছে। মিতি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে এই র‌্যালি বের করা হয়। মেইতেই সম্প্রদায় বহুদিন ধরেই তফসিলি উপজাতি অর্থাৎ এসটি-তে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। এই সমাবেশ থেকেই হিংসা শুরু হয়। সেই থেকে কুকি সম্প্রদায় ও মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজন মুখোমুখি। শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!