দড়ি বেয়ে নেমে দেদার ভাঙচুর-বই পোড়ানো, দিল্লির স্কুলই হয়ে উঠেছিল হামলার ঘাঁটি

Published : Feb 28, 2020, 02:06 PM ISTUpdated : Feb 28, 2020, 05:26 PM IST
দড়ি বেয়ে নেমে দেদার ভাঙচুর-বই পোড়ানো, দিল্লির স্কুলই হয়ে উঠেছিল হামলার ঘাঁটি

সংক্ষিপ্ত

হিংসাত্মক দুষ্কৃতীর নিশানায় ছিল দিল্লির স্কুলগুলি একের পর এক স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে আগুন ধরানো হয়েছে বইপত্রে তারপর স্কুল হয়েছে হামলাকারীদের ঘাঁটি

উত্তর দিল্লির শিববিহারের ডিআরপি কনভেন্ট স্কুল।  প্রায় ১০০০ জন শিশু এই স্কুলে পড়াশোনা করে। গত চারদিনের হিংসার সময়ে এই স্কুলটিকেই নিশানা করেছিল দুষ্কৃতীরা। পাশের বাড়িগুলির ছাদ থেকে দড়ি বেয়ে তারা স্কুলে ঢুকে পড়েছিল। তারপর ভাঙচুর চালিয়ে, আসবাব ও বইপত্র পুড়িয়ে দিয়ে তারপর ওই এলাকায় হামলা চালানোর জন্য স্কুলটিকে বেসক্যাম্প হিসাবে ব্যবহার করেছিল তারা। এমনটাই জানিয়েছেন স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ধর্মেশ শর্মা।

আরও পড়ুন - 'আয় পাকিস্তানি তোকে নাগরিকতা দেব', রেহাই পেলেন না বিএসএফ জওয়ান-ও

তিনি জানিয়েছেন, গত সোমবার স্কুলে একটি পরীক্ষা ছিল। তাই তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষার্থীরা উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা আসার আগেই বাড়ি চলে গিয়েছিল। সেই বিকেলেই দৃষ্কৃতীরা স্কুলে ঢুকে পড়েছিল। তারপর ব্ল্যাকবোর্ড ভঙে দেয়। বিদ্যালয়ের সমস্ত আসবাব উপর থেকে নিচে ছুঁড়ে ফেলে। লাইব্রেরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধর্মেশ শর্মার অভিযোগ প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে স্কুলে আগুন জ্বলেছে, অথছ দমকল আসেনি। পুলিশকে এসেছে তিন দিন পর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।

আরও পড়ুন - চোখ দেখাতে গিয়ে চলে গেল প্রাণটাই, পরিবার দূষছে বিদ্বেষ-বক্তৃতাকে

অবশ্য প্রথমে এই স্কুলটিতে হামলা হয়নি।  ডিআরপি কনভেন্ট স্কুলের পাশেই রয়েছে রাজধানী স্কুল। সেখানেই প্রথম হামলা করা হয়েছিল। সেই স্কুলের প্রহরী এবং একজন বাসচালককে প্রায় ৪০ ঘন্টা ধরে হামলাকারীরা আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ। এই স্কুলের ছাদ থেকেই দড়ি বেয়ে কনভেন্ট স্কুলে ঢুকেছিল তারা। রাজধানী স্কুলের মালিক ফয়জল ফারুখ-এর অভিযোগ তিনি পুলিশকে ফোন করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ আসেনি। বিনা বাধায় দুষ্কৃতীরা স্কুলের সবকিছু ভেঙেচুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন - হিংসা-কে লবডঙ্কা, অশান্ত দিল্লিতে হিন্দু বোনের বিয়ে দিলেন তাঁর মুসলিম ভাইরাই

শিববিহার উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই নজিরবিহীন হিংসায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৯ জন মারা গিয়েছেন। গত পাঁচ দিনে ৩০০-রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। শুধু এই দুই স্কুলেই নয়, উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন জায়গাতেই স্কুলগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার, ব্রিজপুরীর একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়েও দমকল আসার আগে চার ঘন্টা ধরে আগুন জ্বলেছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

আধারের ফটোকপি জমা রাখা আর বাধ্যতামূলক নয়, নয়া নিয়ম আনছে কর্তৃপক্ষ, জেনে নিন বিস্তারিত
Indigo Flights Cancelled : ইন্ডিগোর বিমান বিভ্রাট অব্যাহত! চরম ভোগান্তি, আকাশপথে জট, রেলপথেই সমাধান!