সংক্ষিপ্ত
উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন কাজ করতে
মঙ্গলবার উত্তরপূর্ব দিল্লির এক হাসপাতালে যান চোখ দেখাতে
তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না
পরিবার আঙুল তুললেন বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার দিকে
বিতর্কিত সিএএ আইন নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চারদিন ধরে চলা হিংসার ঘটনায় শুধু দিল্লির স্থানীয় বাসিন্দারাই নিহত হননি, প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের এক যুবক-ও এই হানাহানিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, 'যারা বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দিয়েছেন' তাদের জন্যই এই হিংসা, এই হানাহানি, এই মৃত্যু মিছিল।
আরও পড়ুন - 'আয় পাকিস্তানি তোকে নাগরিকতা দেব', রেহাই পেলেন না বিএসএফ জওয়ান-ও
শাহবানের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বুলান্দশহর-এ। পূর্ব দিল্লির একটি লোহার ঝালাইয়ের দোকানে কাজ করতেন তিনি। শাহবানের মা জানিয়েছেন গত মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ তিনি উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারাওয়াল নগরের এক হাসপাতালে গিয়েছিলেন চোখ দেখাতে। তাঁর চোখে আঘাত লেগেছিল। দুপুর তিনটের দিকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পান তাঁর মা। তার পরেরদিন বাড়িতে আসে ছেলের মৃত্যুসংবাদ। বাবা জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবার এখন তার মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন - হিংসা-কে লবডঙ্কা, অশান্ত দিল্লিতে হিন্দু বোনের বিয়ে দিলেন তাঁর মুসলিম ভাইরাই
শাহাবানের কাকা বলেছেন, কাজ করতে দিল্লি গিয়ে শাহবানকে প্রাণ হারাতে হল। তাকে উন্মত্ত জনতা হত্যা করল। দুর্ভাগ্যজনক হল যারা বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দেয়, তারা যা খুশি বলেও পার পেয়ে যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ রেস্তোঁরা থেকে ছবি পোস্ট করে। কিন্তু তাদের জন্যই সাধারণ মানুষ-কে মরতে হয়।
আরও পড়ুন - ধ্বংসের ধূসরতা, বাতাসে পোড়া গন্ধ, চলতে ফিরতে মিলছে লাশ - দিল্লির হিংসা ছবিতে ছবিতে
গত রবিবার থেকেই উত্তরপূর্ব দিল্লিতে বিতর্কিত সিএএ আইন নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। সিএএ-র প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র ওইদিন বিকেলে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুরে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে একটি সমাবেশ করেন। সেই সমাবেশের মঞ্চ থেকেই তিনি দিল্লিতে হিংসার প্ররোচনা দিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, গত বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের শুনানি-তেও কপিল মিশ্রের মৌজপুরের মন্তব্যের কথা ওঠে।