তিনটে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশ। কর্ণাটকে এবার ত্রিমুখী লড়াই। একদিন রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস ও স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেডিএস। রাজ্যে ৫৮ হাজার ৫৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ৫.৩১ কোটি ভোটার ।
২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। বুধবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাজ্য জুড়ে ভোটারদের উপস্থিতির হার প্রায় ৫২ শতাংশ। রামনগরে সর্বোচ্চ ৬৩ . ৩৬ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আরও বেশি ভোট পড়বে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন। এদিন সকাল ৭টায় ভোগ গ্রহণ শুরু হয় কর্ণাটকে। সবথেকে কম ভোট পড়েছে বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে বা বিবিএমপিতে। মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে এই এলাকায়।
কর্ণাটকে এবার ত্রিমুখী লড়াই। একদিন রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস ও স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেডিএস। রাজ্যে ৫৮ হাজার ৫৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ৫.৩১ কোটি ভোটার । কর্ণাটকে ২৬১৫ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২৪৩০ ও মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কর্ণাটকে তরুণ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষেরও বেশি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৪ লক্ষেরও বেশি পোলিং কর্মী ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করবেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সুস্ঠু নির্বাচনের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ৮৪ হাজারেও বেশি পুলিশ, ৫৮ হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান, মোতায়েন রয়েছে।
যাইহোক একাধিক বিতর্কের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার আবারও কর্ণাটকের জনগণকে বিপুল সংখ্যায় ভোট দেওয়া ও গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে একই আবেদন জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কর্ণাটকে প্রগতিশীল ও ৪০ শতাংশ কমিশন মুক্ত সরকার গঠনের জন্য রাজ্যের মানুষদের আবেদন জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুর ৩টের মধ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির সাক্ষী রয়েছে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। বিজয়পুরা জেলার মাসাবিনালের গ্রামবাসীরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বোঝাই একটি ভোটের গাড়ি আটকে দিয়েছিল। এক অফিসারকেও মারধর করা হয়। বেশ কিছু ব্যালট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে গুজবের কারণেই গ্রামবাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ আরও বলেছে, গুজব ছিল, কর্মকর্তারা EVM ও VVPAT বদল করছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই স্থানীয় যুবকরা লাঠি নিয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা আহত হয়েছে। বাল্লারি জেলার সঞ্জীবরায়ণকোটে বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়।