৪৮ মিনিটের সাংবাদিক সম্মেলনে মোদীর ৮ মন্ত্রী, কী বললেন অনুরাগ ঠাকুর, পীষূষ গোয়েলরা

৪৮ মিনিট ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বাদল অধিবেশনের পরেও উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 12, 2021 11:55 AM IST / Updated: Aug 12 2021, 06:15 PM IST

হাঠাৎই শেষ হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। গোটা বাদল অধিবেশন জুড়েই বিরোধীরা তীব্র হৈহট্টগোল চালিয়েছে। একাধিকবার লোকসভা আর রাজ্যসভার অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই সেই রেশ অব্যাহত রয়েছে। সংদের বাইরেও চলছে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব। এদিন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা সংসদ থেকে বিজয়চক পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। মহিলাদেরও মার্শালদিয়ে মারধর করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসরে নামিয়েছেন ৮ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। এক নজরে দেখে নিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কে কী বলেছেন। 

৪৮ মিনিট ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করে  ৮ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একসঙ্গে বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অনুরাগ ঠাকুর, পীযূষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রহ্লাদ জোশী, মুখতার আব্বাস নাকভি, মুরালিধরন, অর্জুন মেঘওয়াল ভূপেন্দ্র যাদব। 


অনুরাগ ঠাকুর- গোটা দেশের মানুষ বাদল অধিবেশনের জন্য অপেক্ষা করে বসেছিলেন। সংসদে যাতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি উত্থাপন করা হয় সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। দেশের মানুষ চেয়েছিলেন সংসদে করোনা মহামারি নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু বিরোধীদের জন্য সবকিছুই ভেস্তে গিয়েছিল। সংসদে বিরোধীদের একমাত্র এজেন্ডা ছিল নৈরাজ্য। এখন কুমিরের কান্না না কেঁদে বিরোধীদের উচিৎ দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। 

আগামী বছরগুলিতে COVID 19-র টার্গেট শিশুরা, করোনাভাইরাস নিয়ে ভবিষ্যৎ বানী বিজ্ঞানীদের

পীযূষ গয়াল- এই অধিবেশ অনেকগুলি দুঃখজনক আর লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে আমাদের। সমস্ত বিরোধী দলগুলির উদ্দেশ্য ছিলে সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা। অধিবেশন যাতে সুষ্ঠুভাবে না চলে তার ব্যবস্থা করা। শুধুমাত্র ওবিসি   সংশোধনী বিলটি শান্তিপূর্ণভাবে পাশ করতে দিয়েছে। এক পিছনেও বিরোধীদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধতা ছিল। দেশের জনগণ বারবার বিরোধী দলগুলিকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে। আগামী দিনেই তারা শিক্ষা দেবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। সংসদে বিরোধীরা কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে সরকার পক্ষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন। 

'টুইটারে কী হচ্ছে', ডেরেকের বার্তায় কংগ্রেস-তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত

প্রহ্লাদ যোশী- সাড়ে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জনগণের রায় মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। কংগ্রেস এখনও মনে করেছে সংসদে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদী সেটা ছিনিয়ে নিয়েছে। কংগ্রেসের এই মানসিকতাই সংসদ চলতে বাধা দিয়েছে বারবার। কংগ্রেস আর বিরোধীদলগুলি প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সংসদের অধিবেশন চলতে দেবে না। সেই কারণে বিরোধীরা নতুন মন্ত্রীদের পরিচয় করাতে দেয়নি। গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়েও আলোচনা করতে বাধা দিয়েছে। 

মোদী জি ভয় পেয়েছেন, টুইটার অ্যাকাউন্ট 'লক' করায় কংগ্রেসের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী

ধর্মেন্দ্র প্রধান- সংসদে বিরোধীদের দুই রকম চরিত্র সামনে এসেছে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ পুরণ করতে ওবিসি বিল নিয়ে আলোচনা  করেছে। তা সুষ্ঠুভাবে পাশ করাতে দিয়েছে। কিন্তু বাকি বিলগুলি নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করতে দেয়নি। মোদী সরকার যখন গোটা দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বিরোধীরা তখন তাতে বাধা তৈরি করছে। 

Share this article
click me!