SC On Stray Dogs: রাজধানীর রাস্তা থেকে পথকুকুরদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরই দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আজ ফের এই মামলার শুনানি। কী হবে পথকুকুরদের ভবিষ্যত! বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি।
বুধবার পথকুকুরদের দিল্লির রাস্তা থেকে সরানোর বিষয় নিয়ে একটি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে বিতর্ক। অবলা পশুদের এভাবে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছে না আমজনতা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নবগঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হবে। সূত্রের খবর, বুধবারই এই মামলা আগের দুই বিচারপতির বেঞ্চ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ মামলা শুনবেন শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতি বিক্রম নাথ, সন্দীপ মেহতা এবং এনভি আঞ্জারিয়ার বিশেষ বেঞ্চ।
25
পথকুকুরদের ভবিষ্যতের শুনানি আদালতে
এই বিষয়ে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে এই পথকুকুরদের ভবিষ্যত নিয়ে মামলার শুনানি হবে। এই বিষয়ে বিচারপতিদের বিশেষ ওই বেঞ্চে আরও চারটি মামলা জমা পড়েছে। যারমধ্যে রয়েছে-- ১.স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। ২. জনস্বার্থ মামলা। ৩. ২০২৪ সালের একটি আবেদন সংক্রান্ত মামলা। ৪. দিল্লি-এনসিআর এলাকায় পথকুকুরদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর বিষয়ে মামলার শুনানি। এই সবকটি মামলায় আজ শুনবেন তিন বিচারপতি।
35
পথকুকুরদের নিয়ে ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট?
জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার অর্থাৎ ১১ অগাস্ট দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, অবিলম্বে রাজধানী দিল্লি সহ এনসিআর অঞ্চল থেকে সমস্ত পথকুকুরদের জীবাণুমুক্ত করে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাতে হবে। রাজধানীতে গত ছয়মাসে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষকে কুকুরে কামড়েছে। যারফলে বাড়ছে জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা। এই অবস্থায় দিল্লি প্রশাসন ও পৌরসভাগুলিকে অতিদ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয় আদালতের তরফে। এমনকি কেউ বাধা দিতে আসলে সংশ্লিষ্ট নাগরিক, পশুপ্রেমি সংস্থার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় আদালত। আর সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে অবলাদের নিয়ে তরজা।
এখানেই শেষ নয়। দিল্লি-এনসিআর এলাকার সমস্ত পথকুকুরদের অতিদ্রুত ধরে তাদের শেল্টারে পাঠানোর ব্যাপারে সোমবারই সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। ১১ অগাস্টের নির্দেশিকায় বলা হয় যে, আট সপ্তাহের মধ্যে কুকুরদের আশ্রয়স্থল তৈরি করতে হবে। এমনকি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরই দিল্লি, দিল্লি পৌর কর্পোরেশন, এনডিএমসি এবং নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদ প্রশাসনকে আট সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে কুকুরের আশ্রয়স্থল তৈরির বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্র ছাড়া কারও বক্তব্য আদালত শুনবে না বলেও জানায়।
55
আশ্রয়স্থল থেকে দত্তক নেওয়া যাবে পথকুকুর
এই বিষয়ে আদালত জানিয়েছে যে, ভারতের প্রাণী কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক ২০২২ সালের মে মাসে জারি করা কমিউনিটি প্রাণী দত্তক নেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল অনুসারে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা কুকুরদের দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যকারিতা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে। ফলে কী হতে চলেছে রাজধানীর পথকুকুরদের ভবিষ্যত! তা ফের আজ জানা যাবে।