তিনি কেবল দক্ষিণের এই দুর্গটি কংগ্রেসের কাছে জিততে বড় ভূমিকা পালন করেননি, ২০২৪ সালের সাধারণ ভোটের আগে বিরোধী মঞ্চের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছেন। কর্ণাটক নির্বাচনকে ঘিরে কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিয়েছেন বহুগুণ।
কর্ণাটকে কংগ্রেস এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কংগ্রেসের জয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। কর্ণাটকে হাত শিবিরের পতাকা উড়ছে। এই জয়ের পর এবার নাম উঠে এসেছে সুনীল কানুগোলুর। কে তিনি। কী করেছেন তিনি, সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। সুনীল কানুগোলু একজন নির্বাচনী কৌশলবিদ। এর আগে, এই সুনীল কানুগোলু ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু বর্তমান নির্বাচনে, তার বিশেষ কৌশলের কারণে, তিনি কেবল দক্ষিণের এই দুর্গটি কংগ্রেসের কাছে জিততে বড় ভূমিকা পালন করেননি, ২০২৪ সালের সাধারণ ভোটের আগে বিরোধী মঞ্চের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছেন। কর্ণাটক নির্বাচনকে ঘিরে কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিয়েছেন বহুগুণ।
সুনীল কানুগোলুকে গত বছরের মার্চ মাসে নির্বাচনী কৌশলী হিসাবে কংগ্রেস একটি বড় দায়িত্ব অর্পণ করেছিল। দুই মাস পরে, সোনিয়া গান্ধী তাকে দলের ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। সুনীল কানুগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তামিলনাড়ুতে DMK এবং AIADMK-এর সাথেও কাজ করেছেন।
কর্ণাটক নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, কানুগোলু ভোট দেওয়ার আগে 8 মাসে তার দলের মাধ্যমে পাঁচটি সমীক্ষা করেছিলেন। সূত্র জানায়, কয়েকটি আসন বাদ দিয়ে এসব সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়।
সুনীল কানুগোলু এর আগে নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও কাজ করেছেন। কানুগোলু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং বিজেপির অ্যাসোসিয়েশন অফ বিলিয়ন মাইন্ডস (ABM)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি অতীতে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট এবং কর্ণাটকে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মূলত কর্ণাটকের, কানুগোলু তার স্কুলের সময় চেন্নাইতে থাকতেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা' পরিকল্পনার কৃতিত্বও তাঁর। এই সফর রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের ভাবমূর্তি বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
কংগ্রেস নেতাদের কথায় কর্ণাটকে কংগ্রসের সাফল্যের পিছনে রয়েছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কর্ণাটকের চামরাজানগরে জেলার গুন্ডলুপেটে প্রবেশ করে। তারপর টানা ২২ দিনে এই রাজ্যের ৫০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সুনীল কানুগোলুর সামনে এখন তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভাগ্য পুনরুজ্জীবিত করা এবং এই বছরের শেষের দিকে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের নির্বাচনে দলটিকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখার কাজ রয়েছে। এর পাশাপাশি কানুগোলু কংগ্রেসকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ারও লক্ষ্য রাখবেন।