তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। প্রথম দিনেই দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার আম্বালায় পুলিশের বাধা মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের।
শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে আচমকাই তিন কৃষি আইন(Farm law) বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Prime Minister Narendra Modi)। এমনকী কেন্দ্রের ভুল ক্রুটির জন্য আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে ‘ক্ষমাও’ চান। এদিকে অন্যান্য কৃষক সংগঠনের পাশাপাশি বিকেইউ একতা উগ্রাহনও (BKU Ekta Ugrahan) কেন্দ্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন ছেড়ে এখনই পিছু হটছে না তারাও। এমনকী একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আগামী আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসাথে তিন কৃষি আইন বাতিল ছাড়াও কৃষকদের তরফে থাকা অন্যান্য দাবি নিয়ে নতুন করে আওয়াজ তোলা হয়েছে তাদের তরফে।
এদিকে ফার্মারস প্রডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন) আইন, ২০২০; ফার্মারস এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন (মূল্য নিশ্চয়তা এবং কৃষি পরিষেবা আইন ২০২০ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য (সংশোধন) আইন, ২০২০ মূল এই তিন আইন বাতিলের দাবি ছাড়াও বিদ্যুতের বিল মকুব, আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, এমএসপি সহ একাধিক দাবির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। অন্যদিকে মুখে আইন বাতিলের কথা বললেও সরকারি ভাবে এখনও কোনও পদক্ষেপ কেন্দ্র নেয়নি। তাই যতক্ষণ না তাদের এই দাবি গুলিও মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন জারি থাকবে বলে সাফ জানাচ্ছেন বিকেইউ একতা উগ্রাহনের (BKU Ekta Ugrahan) নেতারা।
আরও পড়ুন-অধীর ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতার উপর প্রাণঘাতী হামলা বহরমপুরে, কাঠগড়ায় তৃণমূল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। প্রথম দিনেই দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার আম্বালায় পুলিশের বাধা মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। এমনকী সম্প্রতি লখিমপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে পিষে মারা যান একাধিক কৃষক। যা নিয়েও দফায় দফায় উত্তাল হয়ে ওঠে দেশের রাজ্য রাজনীতি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পথ পেরিয়ে এই জয় যে আন্দোলনরত কৃষক মনে নতুন জোয়ার আনবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এদিন তিন কৃষি আইন বাতিলের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার কৃষকদের জন্য কী ধরণের একাধিক জনমুখী প্রকল্প এনেছে তাও তুলে ধরেন। যা নিয়েও চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন-ভাঙন থামছে না সংযুক্ত মোর্চায়, ফের ভাঙড়ে দলে দলে তৃণমূলে যোগ আইএসএফ কর্মীদের
অন্যদিকে কৃষি আইন বাতিল করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলার ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এই আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে ওঠায় মামলা গুলিও অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়েও চিন্তিত প্রতিবাদী কৃষক মহলের একটা বড় অংশ। তবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকার চূড়ান্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমানে সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।