পরমাণু বোমা (Atom Bomb) তৈরির মশলা নিয়ে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে চিনে (China) যাচ্ছিল জাহাজ। গুজরাটের মুন্দ্রা (Mundra Port, Gujarat) বন্দরে আসতেই আটক করল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তান (Pakistan) কি চিনকে (China) পরমাণু বোমা (Atom Bomb) তৈরির মশলা পাঠাচ্ছে? বৃহস্পতিবার গুজরাটের মুন্দ্রা (Mundra Port, Gujarat) বন্দরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটক পাকিস্তান থেকে চিনগামী এক মালবাহী জাহাজ ধরা পড়ার পর, সেই প্রশ্নই উঠে গেল। মালবাহী জাহাজটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ (Radioactive Material) রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মুন্দ্রা বন্দর পরিচালনা করে আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড (APSEZ)। আদানি পোর্টস-এর (Adani Ports) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকটি কন্টেইনার সমেত ওই বিদেশী জাহাজটি মুন্দ্রা বন্দরে আসতেই কাস্টমস (Customs) এবং ডিআরআই-এর (DRI) একটি যৌথ দল আটক করে। তাদের কাছে আগেই ওই জাহাজে 'অঘোষিত বিপজ্জনক চালান' রয়েছে বলে খবর ছিল।
আদানি পোর্টস এই বিষয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ১৮ নভেম্বর, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওই বিদেশী জাহাজ থেকে বেশ কয়েকটি কন্টেইনার বাজেয়াপ্ত করে। সেগুলির মধ্যে 'অঘোষিত বিপজ্জনক পণ্য' রয়েছে। মালবাহী জাহাজটি বিপজ্জনক নয় বলেই বন্দরে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, কাস্টমস এবং ডিআরআই-এর দলের বাজেয়াপ্ত করা কনটেইনারগুলিতে 'হ্যাজার্ড ক্লাস সেভেন' (Hazard Class 7) বলে চিহ্নিত ছিল। এই ধরণের চিহ্নিতকরণ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকলেই করা হয়।
তবে ওই কন্টেইনারগুলি কিন্তু মুন্দ্রা বন্দর বা ভারতের অন্য কোনও বন্দরে আসছিল না। পাকিস্তানের করাচি থেকে সেগুলি ও জাহাজে করে পাঠানো হয়েছিল চিনের সাংহাই (Shanghai) বন্দরের উদ্দেশ্যে। তবে মাঝপথে মুন্দ্রা বন্দরে জাহাজটি থামতেই, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়ে গেল। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কার্গোটি মুন্দ্রা বন্দরেই নামানো হয়েছে।
এপিএসইজেড-এর পক্ষ থেকে এই অভিযানের জন্য কাস্টমস এবং ডিআরআই কর্মীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তাদের অধ্যবসায়কে সেলাম জানানো হয়েছে। এই অভিযানের জন্য কাস্টমস এবং ডিআরআই কর্মীদের এপিএসইজেড সবরকম সহায়তা করেছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ভবিষ্যতেও দেশের সুরক্ষা জন্য, এমন যে কোনও পদক্ষেপে তারা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে আদানিরা। তাদের প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আদানি গোষ্ঠী জাতীয় নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও ভাবেই কোনও আপস তারা করবে না'।
এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে। তাঁরা বলছেন, এই ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত প্রয়োজন। পাকিস্তান বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ থেকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য পরিচিত। এখন তাদের গডফাদার চিনকে তারা তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাঠাচ্ছে। চিন-পাক জোট তাদের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি করলে, তা কিন্তু সমগ্র মানব সভ্যতার জন্যই সবথেকে বড় হুমকি হয়ে উঠবে।