সংক্ষিপ্ত
আরও পড়ুন-
ভাঙন যেন কিছুতেই থামছে না মোর্চায়(Sanjukta Morcha)। বিধানসভা ভোটে(Assembly vote) সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র আশার প্রদীপ ভাঙড়ের(Bhangar politics) আলোও যেন এবার নিভতে চলেছে তৃণমূল ঝড়ে। কিছুদিন আগেই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বাড়ির পাশেই প্রায় সাড়ে তিনশো কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। সেই ভাঙন এখনও অব্যাহত। শুক্রবারও ভাঙড়ের ছয়আনি গ্রামের বেশ কিছু আই এস এফ কর্মী মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে(Trinamool) যোগদান করেন। ওই এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য খইরুল ইসলামের হাত ধরে এদিন যোগদান পর্ব চলে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন তৃণমূলে যোগদানের এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের দাপুটে ও বিতর্কিত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তবে তাঁর দাবি দলে যারা আসছেন তার বেশিরভাগই পুরনো কর্মী। ভোটের ময়দানে বেশ কিছু রাজনৈতিক কারণে তাদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আরাবুল বলেন, “আমাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে কিছু মানুষ দূরে সরে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসায় আমরা খুশি।তৃণমূলের উন্নয়নের কারণেই তাঁরা আমাদের দলে ফিরে আসছেন।যারা দলে ফিরছেন সবাইকে স্বাগত।”
আরও পড়ুন- পুলিশের তাড়ায় মরণঝাঁপ! যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল মুর্শিদাবাদের লালগোলা
শুক্রবার ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রোজিনা বিবির ঠিক বাড়ির পাশেই ৫৬ নম্বর বুথে এই যোগদান কর্মসূচী চলে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিধানসভা নির্বাচনে রোজিনার ওই বুথেই তৃণমূলের থেকে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছিলেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিজয়ী প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি।সেই বুথেই এদিন মোর্চা ছেড়ে বড় অংশের আইএসএফ কর্মীর তৃণমূলে যোগদানে চাপ বেড়েছে মোর্চার অন্দরেও।তৃণমূল নেতা খইরুল বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে তৃণমূল একাই লড়বে।তখন বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই ভুল বুঝতে পেরে তা সংশোধনের জন্য বিরোধীরা আমাদের দলে যোগদান করছেন।” সূত্রের খবর এদিন জনা পঞ্চাশ আইএসএফ কর্মী শাসকদলে নাম লেখান।
আরও পড়ুন- অধীর ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতার উপর প্রাণঘাতী হামলা বহরমপুরে, কাঠগড়ায় তৃণমূল
এদিকে বিধানসভা ভোট মিটতে না মিটতেই সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যত নিয়ে উঠতে থাকে বড়সড় প্রশ্ন। এমনকী মোর্চা ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে বারেবারে। অস্বস্তি বেড়েছে বামেদের। অন্যদিকে ভোট পরবর্তী বাংলার বুকে আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকীর ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে মোর্চার অন্দরে। এবার খোদ আইএসএফ গড় ভাঙড়ে এতবড় ভাঙনে চিন্তায় জোট শরিকেরা। তবে আগামীর রাজনীতির ময়দানে মোর্চার খেলা কোনদিকে বাঁক নেয় এখন সেটাই দেখার।