যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী-কন্যাকে পুড়িয়ে খুন, উত্তরপ্রদেশের নারকীয় ঘটনায় গ্রেফতার স্বামী

২০১৮ সালের ১২ মে অরবিন্দ চৌরাসিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ে লক্ষ্মীর। বিয়ের পর থেকেই পণ বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তা না দেওয়ায় লক্ষ্মীকে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ।

Parna Sengupta | Published : Dec 12, 2022 4:50 AM IST

সুলতানপুর। রবিবার তবকলপুর নাগারা গ্রামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও নাবালিকাকে সন্দেহজনক অবস্থায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বাড়ির উঠোনে দুজনেরই দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে দেওয়া খবরে পুলিশের সঙ্গে এসপিও তদন্ত শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, মেয়ে এবং নাতনিকে হারিয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেন লক্ষ্মীর মা বরফা দেবী। তিনি অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১২ মে অরবিন্দ চৌরাসিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেয়ে লক্ষ্মীর। বিয়ের পর থেকেই পণ বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তা না দেওয়ায় লক্ষ্মীকে মারধরও করা হত বলে অভিযোগ। ৪ বছর ধরে তাঁর উপর পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হত। এ ছাড়া আরও নানা কারণে অশান্তি লেগেই থাকত সংসারে।

যৌতুকের জন্য মা-মেয়েকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কাদিপুর এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী অরবিন্দ চৌরাসিয়ার বাড়ির পাশে। বাড়ির সামনে তৈরি কাপড়ের দোকান। অরবিন্দের স্ত্রী লক্ষ্মী (২৪) এবং তিন বছরের মেয়ের মৃতদেহ রবিবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পিছনের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে সন্দেহজনক ভাবে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। চন্দ্ররাম চৌরাসিয়ার ছেলে অরবিন্দ আজমগড় জেলার ফুলপুর এলাকার ভিলারমাউ গ্রামের বরফা দেবীর স্ত্রীর সাথে বিয়ে করেছিলেন।

খবর পেয়েই এসপি সোমেন বর্মা ও সিও শিবম মিশ্র সহ স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করেন। লক্ষ্মীর মা বরফা দেবীর তাহরিরে বস্ত্র ব্যবসায়ী স্বামী অরবিন্দ চৌরাসিয়া, শ্বশুর চন্দ্ররাম, শাশুড়ি রাজকুমারী ও শ্যালক গোলু ওরফে প্রিন্স চৌরাসিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যৌতুক হয়রানি। মূল অভিযুক্ত স্বামী অরবিন্দ চৌরাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Share this article
click me!