ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ত্রিপুরায় গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন মহিলারা। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। মারের চোটে মৃত্যু হয় ওই অভিযুক্তর।
দেশে মাঝে মধ্যেই কোনও না কোনও ধর্ষণের (Rape Case) ঘটনা সামনে আসে। অনেকের মতেই ভারতে ধর্ষণ (Rape Case In India) নিয়ে কড়া আইন নেই তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যায় ধর্ষক। আবার কখনও শুধুমাত্র প্রকৃত তথ্য প্রমাণ বা দুর্বল আইনের (Law) কারণেও রেহাই পেয়ে যায় অভিযুক্ত। কখনও আবার ধর্ষণের মামলা এত বেশি দিন ধরে চলে যে তাতে সাজা পেতেই অনেকটা দেরি হয়ে যায় ধর্ষকের। তবে এবার আর আইনের রাস্তায় হাঁটলেন না ত্রিপুরার (Tripura) কয়েকজন মহিলা। ধর্ষণে অভিযুক্তকে সাজা দিলেন তাঁরা নিজেরাই। আইন নিজেদের হাতেই তুলে নিলেন তাঁরা। আর এভাবেই ধর্ষকের জীবনে নামিয়ে দিলেন অন্ধকার। তবে এই পদ্ধতিকে অনেকেই নাও মানতে পারেন। কিন্তু, সেই বিষয়কেও গুরুত্ব দেননি ওই সব মহিলারা।
ঠিক কী হয়েছে?
ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ত্রিপুরায় গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন মহিলারা। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। মারের চোটে মৃত্যু হয় ওই অভিযুক্তর। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে মৃত্যু পর্যন্ত মারধর (Women lynch rape accused) করতে দেখা গিয়েছে মহিলাকে। ত্রিপুরার ঢালাই জেলার (Dhalai District) গন্ডচেরা থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন- গুয়াহাটির পর উদালগুড়ি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর ২টি এনকাউন্টার, মৃত্যু ২ ধর্ষণে অভিযুক্তর
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ৮ বছর জেল খেটেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মায়ের সঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। তারপর সেই শিশুকে সেখানে ফেলে রেখেই তিনি চলে যান। এদিকে ওই শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে সেখানে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করা হয় একটি স্থানীয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- 'কাশ্মীর ফাইলসের মতো লখিমপুর ফাইলস নিয়েও ছবি তৈরি হওয়া উচিত', বিজেপিকে খোঁচা
স্থানীয়দের দাবি ছিল, ওই শিশুকে শেষবার ওই অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তার জেরে সব সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির উপরই। এরপর ওই ব্যক্তির গ্রেফতারি চেয়ে গন্দচেরা-অমরপুর হাইওয়ে অবরোধ করেন তাঁরা। কিন্তু, আইনের উপর ভরসা রাখতে না পেরে বুধবার ওই ব্যক্তিকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে চলে গণপ্রহার। মারের চোটে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন- নির্যাতিতার পরণে ছিল অন্তর্বাস, হয়নি ব্যথা - কিন্তু হয়েছে ধর্ষণ, বলল হাইকোর্ট