সংক্ষিপ্ত

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল তারা। তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে ঘটনা দুটি ঘটেছে গুয়াহাটি ও উদলগিরিতে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে অসমে (Assam) পরপর দুটি এনকাউন্টার (Encounter)। আর তার জেরেই মৃত্যু হল ধর্ষণে অভিযুক্ত (2 Rape accused) দুই ব্যক্তির। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল তারা। তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকালে ঘটনা দুটি ঘটেছে গুয়াহাটি (Guwahati) ও উদলগুড়িতে (Udalguri)।

গুয়াহাটিতে ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগের গ্রেফতার করা হয়েছিল বিকি আলিকে। তার বয়স ২০ বছর। চারজন বন্ধুকে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল তারা। প্রায় এখ সপ্তাহ আগে বিকি আলির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। আর সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে বিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর ওইদিনই রাত সাড়ে ১১টার সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় বিকির। 

আরও পড়ুন- 'কাশ্মীর ফাইলসের মতো লখিমপুর ফাইলস নিয়েও ছবি তৈরি হওয়া উচিত', বিজেপিকে খোঁচা

এই ঘটনা প্রসঙ্গে পশ্চিম গুয়াহাটির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নবনীত মহান্ত (Nabaneet Mahanta) বলেন, "বিকিকে অসম-মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে গড়ভাঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যেখানে বাকি অভিযুক্তরা লুকিয়ে ছিল বলে জানা গিয়েছিল। ঠিক সময় এক মহিলা পুলিশকর্মীর কাছে থেকে সার্ভিস রিভলবার ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল বিকি। তখনই এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়। এমনকী, দুই মহিলা পুলিশকর্মীও এই ঘটনায় জখম হয়েছেন।"  

আরও পড়ুন- 'বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারী জামাতরা ক্ষেপে রয়েছে', 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর প্রশংসা মোদীর মুখে

গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাতালের সুপারিটেন্ডেন্ট অভিজিৎ শর্মা জানিয়েছেন, বিকির শরীরে চারটি ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে একটি বুকে ও বাকিগুলি পিঠে। তিনি জানিয়েছেন, রাত ১টা নাগাদ বিকিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া উদলগিরিতে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ৩৮ বছরের রাজেশ মুন্ডার (Rajesh Munda)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সাত বছরের এক শিশুকন্য়াকে ধর্ষণ করে খুন করার। মাজবাতে পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল সে। তখনই তাকে গুলি করা হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন- নির্যাতিতার পরণে ছিল অন্তর্বাস, হয়নি ব্যথা - কিন্তু হয়েছে ধর্ষণ, বলল হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এরপর থেকেই উল্লেখযোগ্য ভাবে এনকাউন্টারের সংখ্যা বেড়েছে ওই রাজ্যে। মসনদে বসার পরে হিমন্ত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন প্রয়োজন পড়লে অপরাধীদের পায়ে গুলি করতে হবে, যদি তারা পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। আর এবার এনকাউন্টারে মৃত্যু হল দুই অভিযুক্তের।