দেশে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলুক ওয়ার্ক ফ্রম হোম, গ্রিন সিগন্যাল দিল কেন্দ্র

  • দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে
  • পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যগুলির তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক
  • বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ 
  • বাড়ি থেকে কাজের ব্যাপারে আপত্তি নেই কেন্দ্রের

Asianet News Bangla | Published : Apr 29, 2020 3:31 AM IST / Updated: Apr 29 2020, 09:04 AM IST

দেশে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে দ্বিতীয় দফার লকডাউন চলছে। তার মধ্যেই প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ভারতে ৩০ হাজার মানুষ করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এই অবস্থা কেন্দ্রের  লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ মে। তারপর সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় তার দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও সেই পথে এগোচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তবে যদি দেশে লকডাউন উঠেও যায়, জনজীবন স্বাভাবিক হবে না , সেকথা সহজেই বোধগম্য। বজায় থাকবে হাজারো বিধিনিষেধ ও সামাজিক দূরত্বের বিধি। এর মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারবেন সেই বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়াল, জুলাই পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলতে পারে গুরগ্রামে

করোনার সংক্রমণ রোধ করতে পারে সিগারেটের নিকোটিন, চাঞ্চল্যকর দাবি এবার গবেষকদের

করোনার ভ্যাকসিনের সঙ্গে এবার বাংলার যোগ, অক্সফোর্ডের গবেষক দলের সদস্য কলকাতার মেয়ে

মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যেই তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারবেন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা। এর আগে সব তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে বলা হয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কর্মীরা যাতে বাড়ি থেকেই কাজ করতে পারেন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা। মঙ্গলবার বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত জুলাই অবধি সকলেই বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন।

বৈঠকে রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছ থেকে কী ধরনের সুবিধা ও সাহায্য আশা করছে, সে বিষয়টাও আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  এও জানান, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমটাই ভবিষ্যৎ। এটিই দেশের কর্ম সংস্কৃতি হতে চলেছে, তা এখন নিশ্চিত। বর্তমানে লকডাউনের ভারতে 
৮৫ শতাংশ কাজই বাড়ি থেকেই করছিলেন আইটি কর্মীরা। সেই ব্যবস্থাই আপাতত চালু থাকবে। 

 ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, "ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মেয়াদ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির আবেদন মেনে কেন্দ্রের টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক ভিপিএন–এর শর্তাবলী ছাড় দিয়েছে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এর আগে এই ছাড়ের সময়সীমা ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।"

 

 

সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে রবিশঙ্কর  জানান , বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী একটা অ্যাপ তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন। যেখানে এই অতিমারীকে কীভাবে হারানো যায়, সেই তথ্য এবং কৌশল আদান-প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে কিছুটা সহজ হয়ে যাবে কোভিড ১৯ কে আটকানোর পথটি। এই পরামর্শ সকলেই মেনে নেন এবং তিন দিনের মধ্যে অ্যাপ তৈরির নির্দেশও দিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল ই গভর্ন্যান্স ডিভিশন ও ন্যাশনাল ইনফর্মেটিকস সেন্টারকে। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তার দপ্তরের কাজের প্রশংসা করেন আরোগ্য সেতু অ্যাপ সফল হওয়ায়। ‌এই অ্যাপ যাতে সমস্ত রাজ্য ব্যবহার করে, সেই পরামর্শ তিনি দেন। পাশাপাশি তিনি এও জানালেন, দেশে বৈদ্যুতিক উৎপাদনের যুগ আসছে। ভারতের সামনে এখন বিস্তর সুযোগ। সেই সুযোগকে এবার কাজে লাগাতে আবেদন জানালেন দেশের সব মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের। রাজ্যগুলি যদি এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সেটা দেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সিদ্ধান্ত হবে। এই সময়টাকে অন্ধকার সময় বলে ধরে না থেকে কীভাবে সময়টাকে কাজে লাগানো যায় সেটা খুঁজে বের করাই জরুরি। আর সেটাই হল বৈদ্যুতিক উৎপাদন।

Share this article
click me!