ক্রমশই অত্যাচারী রূপ সামনে নিয়ে আসছে তালিবানরা। পঞ্জশিরে আমরুল্লাহ সালেহর ভাইকে ভয়ানক অত্যাচার করার পর খুন করল তালিবানরা।
তালিবানি রাজত্বে আবারও মধ্যযুগীয় বর্বরতায় আফগানিস্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তালিবানরা। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্জশিরে আবারও তালিবানদের সঙ্গে আফগান ন্যাশালান রেজিসটেন্স ফোর্সের সংঘর্ষ হয়। সেই সময় তালিবানরা আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেগর ভাই রোহুল্লাহ সালেহকে চিহ্নিত করে। সেখানেই তাঁর ওপর নির্মাম অত্যাচার শুরু করে। অকথ্য সেই অত্যাচার শেষ হয় সালেহর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করার পরে। একটি সূত্র জানিয়েছে তালিবান যোদ্ধরা তাকে পাকড়াও করে নির্যাতন আর মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছিল।
তালিবানরা দাবি করছে তারা পঞ্জশিরের দখল নিয়েছে। কিন্তু তালিবানদের দাবি অস্বীকার করছে পঞ্জশিরের জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্ট। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনও তালিবানদের সঙ্গে তাদের যোদ্ধারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সচারচর প্রশ্ন উছঠে ফ্রন্টের নেতা আহমেদ মাসুদ কোথায় রয়েছেন। একটি সূত্র বলছেন ফ্রন্টের প্রতিরোধ ভেঙে পড়়ার পরই তিনি ও আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ আফগানিস্তান ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। যদিও তাজিকিস্তান আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তারা এই দেশে আসেননি। এখনও তারা দুজনেই আফগানিস্তানে রয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তালিবানদের সঙ্গে এখনও পঞ্জশিরের যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন আমরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। নিরাপত্তার কারণে অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না সালেহ।
ধর্ষণের পর যোনিতে রড ঢুকিয়ে নৃশংসতার চরম নিদর্শন, মুম্বই-এর ঘটান ফেরালো দিল্লি গণধর্ষণের ভয়াবহতা
প্রিয় জনের আঘাতে ভেঙে গেছে মন, ভাঙা-হৃদয় জুড়তে এই ১০টি টিপস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
Covid 19: তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে সতর্ক,করোনা পরিস্থিতি ও টিকা অভিযান খতিয়ে দেখতে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী
তবে তালিবানরা দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিল তারা পঞ্জশিরের দখল নিয়েছেন। অগাস্টের মাঝামাঝো অফগানিস্তানে সিংহভাগ দখল করে নিলেও পঞ্জশির দখল করতে পারেননি তালিবানরা। সম্প্রতি তালিবানরা জানিয়েছে তারা পঞ্জশিরের দখল নিয়েছে। কিন্তু পঞ্জশিরে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ইন্টারনেটসহ সমস্ত যোগাযোগ সংযোদ ছিন্ন করা হয়েছে। অন্যদিকে পঞ্জশিরের নেতা মাসুদ দিন কয়েক আগেই একটি বিবৃতি জারি করে তালিবানদের বিরুদ্ধে আফগানদের লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না। যা নিয়ে ক্রমশই ঘনীভূত হয়েছে রহস্য।