নরওয়ের দূতাবাস দখল করে তালিবানদের তাণ্ডব। যদিও মুখে বলেছিল কোনও দূতাবাস ও কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করা হবে না।
তালিবানরা যে এতটুকু বদলায়নি তার প্রমাণ আবারও দিল। নরওয়ের দূতাবাস দখলের পর থেকে সেখানে তাণ্ডব শুরু করেছে এক দল তালিবান যোদ্ধা। ইরানের নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিগভাল হাইল সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, কাবুলে নরওয়েদের দূতাবাস দখল করেছে তালিবানরা। তারপরই সেখানে তাণ্ডব শুরু করেছে। নরওয়ের দূতাবাসে রাখা সমস্ত বই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তালিবানরা শিশুদের পড়ার বইগুলিও পুড়িয়ে দিয়েয়েছ। একগাদা মদের বোতল ভেঙে তছনছ করেছে। বন্দুক হাতে নিয়েই দূতাবাসে প্রবেশ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন গোটা ঘটনা অত্যান্ত ভয়ঙ্কর ছিল।
যদিও কাবুল দখলের পর তালিবানরা বলেছিল দূতাবাস ও কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি ভারতসহ একাধিক দেশকে আফগানিস্তানের দূতাবাস খোলার জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। যদি চিন, রাশিয়া, পাকিস্তানের মত গুটিকয়েক তালিবান সমর্থক দেশই এখনও পর্যন্ত দূতাবাস খোলা রেখেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার আগে মেনে চলুন এই ১০টি নিয়ম, তাহলে কিছুতেই খালি হাতে ফিরতে হবে না
অগাস্ট মাস থেকেই কাবুলের দূতাবাস বন্ধ রেখেছে ডেনমার্ক ও নরওয়ে। কাবুলের পরিস্থিতি খারাপ বলে ঘোষণা করে নরওয়ের দূতাবাস জানিয়েছিল দূতাবাস বন্ধ রাখার পাশাপাশি সমস্ত কর্মীদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানে থাকা নরওয়ের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল। কিন্তু এখনও কাবুলের উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় বেশ কিছু নরওয়ের বেশকিছু নাগরিক সেদেশে রয়েছে। যাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
যদিও মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার পর এখনও তেমনভাবে সেদেশে থাকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে ভাঁটা পড়েছে। যদিও তালিবানরা ২০০ জন মার্কিন নাগরিকদের একটি চাটার্ড বিমানে করে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রে এখনও কোনও অনুমতি দেয়নি তালিবানরা। তাই আফগানিস্তানে থাকা ভিনদেশের নাগরিকদের সংকট ক্রমশই বাড়ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।