বধ্যভূমি আফগানিস্তান, কাবুল বিমান বন্দরের চারদিকের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা বললেন NATO কর্তা

 কাবুল দখল নেওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিমান বন্দরের এলাকাতেই ২০ জনের মৃত্যু। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেই জানিয়েছেন ন্যাটো কর্তা।
 

তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ঠিক কতটা ভয়াবহ তা পরিষ্কার হয়ে যা ন্যাটো (NATO)র এক কর্মকর্তার কথায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, গত সাত দিনে শুধুমাত্র কাবুল বিমান বন্দর সংলগ্ন এলাকাতেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার (১৫ অগাস্ট) কাবুল দখল করেছিল তালিবানরা। একটি সূত্র বলছে তারপর থেকেই শুরু হয়ে গেছে তালিবানি অত্যাচার। যদিও মুখে শান্তি আর মহিলা ও শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা বলছে তালিবানরা। কিন্তু তা যে কতটা অবাস্তব তা ন্যাটোর কর্মকর্তার কথা থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়। 

Latest Videos

এখনও পর্যন্ত কাবুল বিমান বন্দরের দখল রয়েছে মার্কিন সেনা বাহিনীর হাতে। আমেরিকা ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার দিকেই মনোনিবেশ করেছে। ন্যাটো কর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাবুল বিমান বন্দরের বাইরের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানের সংকট চোখে দেখা যায় না। যত দ্রুত সম্ভব দেশীয় নাগরিকদের ফেরাতে ব্যস্ত সব দেশ। কিন্তু করুণ অবস্থা আফগানদের। তালিবানদের হাত থেকে বাঁচতে তারা জীবন বাজি রেখে কাবুল বিমান বন্দরের দিকে আসছে। তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। যা মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

Shershaah: 'সিদ্ধার্থ-কিয়ারা ভালো',প্রেমিকা ডিম্পল চিমাকে নিয়ে অকপট বিক্রম বার্তার বাবা

'বাংলা থেকে গিয়ে দিল্লির মাটিতে ফাইনাল খেলে জিতব', বিজেপিকে নিশানা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের

রবিবার তালিবানরা কাবুল দখল করে নেওয়ার পর থেকেই দিনে দিনে  কাবুল বিমান বন্দর চত্বরে ভিড় বাড়তে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের নাগরিক, কূটনীতিক , সেনা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি হাজার হাজার আফগানকে তালিবানদের হাত থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনা তা নিতান্তই কম। ন্যাটোর কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি তালিবানের সঙ্গে কোনও রকম সংঘর্ষে জড়াতে চায়না ন্যাটো বাহিন। তাই কাবুল বিমান বন্দরের মধ্যেই নিজেদের কার্যবিধি সীমাবদ্ধ রেখেছে। কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে থেকে রীতিমত দূরত্ব বজায় রেখা হচ্ছে। 

'কেন CAA জরুরি', আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তা বোঝালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

তালিবানদের দ্রুত অগ্রাসনে রীতিমত ত্রস্ত সাধারণ আফগান নাগরিকরা।  কঠোর মৌলবাদী আইন প্রনয়ণের দিকেই ঝুঁকছে সুন্নি গোষ্ঠীর এই জঙ্গিরা। যার কিছু প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে। মহিলা সঞ্চালকদের ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। অধিকাংশ মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই আফগানিস্তানের তালিবান বিরোধী মহিলা জেলা শাসক সালিমা মাজারির। বালখ জেলার এই মহিলা গভর্নরকে ইতিমধ্যেই তালিবানরা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। ভারতে আসা এক আফগান মহিলা জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে তালিবানরা। মেয়ে আর নাতি নাতনি নিয়ে এক কাপড়েই ঘর ছেড়েছেন তাঁরা। 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
ছয় Bidhan Sabha কেন্দ্রের ছটিতেই এগিয়ে TMC, আবির খেলায় মাতলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা
ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে শিক্ষকদের জোরদার বিক্ষোভ! দাবি সঠিক তদন্তের! | Bengal Tab Scam
'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের (TMC) পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)