- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- Shershaah: 'সিদ্ধার্থ-কিয়ারা ভালো',প্রেমিকা ডিম্পল চিমাকে নিয়ে অকপট বিক্রম বার্তার বাবা
Shershaah: 'সিদ্ধার্থ-কিয়ারা ভালো',প্রেমিকা ডিম্পল চিমাকে নিয়ে অকপট বিক্রম বার্তার বাবা
- FB
- TW
- Linkdin
সিদ্ধার্থ-কিয়ারা
শেরশাহ ছবিকে কার্লিল যোদ্ধার বিক্রম বার্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। বিক্রম বার্তার প্রেমিকা তথা বাগদত্তা ডিম্পল চিমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিয়ারা আডবানি। দুজনেই অসাধারণ অভিয়ন করেছেন। ছেলে আর তাঁর প্রেমিকার চরিত্র সিলভার স্ক্রিনে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তেমনই জানিয়েছেন বিক্রম বার্তার বাবা ও মা।
কার্গিল শহিদ
১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হয়েছিল বিক্রম বার্তা। তিনি তাঁর সহকর্মী আর সহযোদ্ধাদের কাছে ছিলেন অত্যান্ত প্রিয়। যুদ্ধের দিনগুলিতে পাক সেনা বাহিনীর কাছে তিনি ছিলেন রীতিমত ত্রাস। তাঁর জীবনী সিলভার স্ক্রিনে শেরশাহ- যা যুদ্ধে কোডনেম ছিল বিক্রমের।
শুধু ছবি নয়
বিক্রম বার্তার পরিবারের কাছে এটি শুধুই একটি চলচ্চিত্র নয়। সাংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেমনই জানিয়ছেন বিক্রমের বাবা। তিনি বলেছেন, 'শেরশাহ একটি খুব সুন্দর ছবি। সিদ্ধার্থ আর কিয়ারা খুব ভালো কাজ করেছে।' পরিচালক বিষ্ণ বর্ধনেরও প্রশাংসা করেন তিনি।
কাস্টিংএ পরিবারের জড়িত কী
এই ছবির কাস্টিং-এ পরিবারের সদস্যরা সরাসরি জড়িত ছিলেন- তা জানতে চাওয়া হয়ে বিক্রম বার্তার বাবা গিরিধর লাল বলেন, অনেক নামই উঠে এসেছিল। শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত মালহোত্রাকে নির্বাচন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা মনে করেন সিদ্ধার্থ পঞ্জাবি হওয়ার সুবাদে চরিত্রের প্রতি ন্যাবিচার করেছেন।
সিদ্ধার্থকে পছন্দ
সিদ্ধার্থকে কাস্ট করায় পুরো পরিবারই খুশি হয়েছিল। কিরায়াও একজন ভালো অভিনেত্রী। তাই তাঁকে নিয়েও তাঁদের কোনও সমস্যা ছিল না। ছবির কাস্টিং নিয়ে পরিবারের সদস্যরা খুশি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বায়োপিক নিয়ে শঙ্কা
বায়োপিক নিয়ে পরিবারের শঙ্কা ছিল- জানিয়েছেন বিক্রম বার্তার বাবা। তিনি পলেন তাঁদের কিছুটা দ্বিধা ছিল। জেপি দত্তও এলওসি কার্গিল ছবির জন্য তাঁদের কাছে গিয়েছিলেন। সেই সময়ও তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল -এমন কিছু না দেখান হয় যাতে পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে ভুল বার্তা যায়। পরিবারের দিকে কেউ যেন আঙুল না তোলেন।
বিক্রম আর ডিম্পলের প্রেম
দীর্ঘ দিন ধরেই বিক্রম আর ডিম্পলের প্রেম দুই পরিবারের সদস্যদের কাথেই একটি মিথ হয়ে রয়েছে। বাস্তব জীবনে বিক্রমের সঙ্গে বিয়ে হয়নি ডিম্পলের। কিন্তু বিক্রমের মৃত্যুর পরেই তাঁকে ধরেই জীবন কাটাচ্ছেন ডিম্পল। তিনি এখনও অবিবাহিত।
ডিম্পলের প্রতি স্নেহ
বিক্রমের বাবা মা আজও নিজের পুত্রবধূর মতই দেখেন ডিম্পলকে। দুই পরিবারের যোগাযোগও অক্ষুন্ন রয়েছে। এখনও বিক্রমের বাবা ও মায়ের জন্ম দিনে ফোনে শুভেচ্ছা জানান ডিম্পল। কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন না বলেও প্রতিজ্ঞা করেছেন।
ডিম্পলের প্রতিজ্ঞা
কার্লিগ যুদ্ধে বিক্রিম শহিদ হওয়ার পরে দুই পরিবারেরই ডিম্পলের বিয়ে নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিল। তাঁকে জোর করাও হয়েছিল। কিন্তু ডিম্পল বিয়ে করতে রাজি হননি। নিজের জেদেই অনড় রয়েছেন। বিক্রমের স্মৃতি নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চান বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ডিম্পলের সিদ্ধান্তে কিয়ারা কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে বার্তা পরিবার।
সম্পর্কে সায়
ডিম্পল আর বিক্রমের সম্পর্কে প্রথম থেকেই সায় ছিল বার্তা পরিবারের। ছেলের পাশে বরাবার ছিলেন বলেও জানিয়েছেন বিক্রমের বারা। তিনি জানতেন ডিম্পল একজন অত্যন্ত স্নেহশীল মহিলা। যিনি সম্পর্ক বজায় রাখতে জানেন। বিক্রমের মায়েরও একই মত। বিক্রমের মৃত্যুর পর ডিম্পলের বিয়ে নিয়ে জোরাজুরে করেও তাঁরা হার মেনেছিলেন। তাই ডিম্পলকে নিজের ইচ্ছায় জীবন কাটানোর স্বাধীনতা দিয়েছেন।