সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তান ইস্যুতে সিএএ নিয়ে আবার নতুন করে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি এদেন বলেন আফগানিস্তান দেখিয়ে দিচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়া কতটা প্রয়োজনীয়।
কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জরুরি- আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে এনে আরও একবার সিএএ (CAA)এর পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রতিবেশী দেশে হিন্দু আর শিখরা যে ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় কেন আমাদের দেশের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু করার প্রয়োজন রয়েছে।' নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বছর দুয়েক আগে উত্তপ্ত হয়েছিল গোটা দেশ। দেশের একটা বড় অংশই এর বিরোধিতা করে। দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলন নজির তৈরি করেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছেন। সিএএ কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল দিল্লি। হিংসার ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
উল্লেখ্য রবিবারই ভারতীয় বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে করে আফগানিস্তান থেকে ১৬৮ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে। সেই তালিকায় ১০৭জন ভারতীয় ছাড়াও দুই জন আফগান সেনেটর ছিলেন। আগেই ভারত জানিয়েছেন আফগানিস্তান হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সবরকম সহযোগিতা করা হবে। প্রয়োজনে তাঁরা যদি ভারতে আসতে চান তাহলে তাঁদেরও ভারতে নিয়ে আসা হবে। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভাবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, নির্মলা সীতারম রাজনাথ সিং উপস্থিত ছিলেন। আর ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আফগানিস্তান থেকে সদ্যো ভারতে ফেরা রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডনও সেদেশের পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
তালিবানি শাসনে রোজই রক্তাক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান, ব্রিটেন জানিয়েছে কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে নিহত ৭
'মুক্তির চুমু', তালিবানদের হাত থেকে নিস্তার পেয়ে ভারতের বিমানে আহ্লাদে আটখানা ছোট্ট শিশু
এদিন যাঁরা ভারতের এসেছেন তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাধারণ আফগান নাগরিক রয়েছেন। যাঁরা প্রাণ হাতে করে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছেন। ভারতে আসা আফগান নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন মহিলারাও। তাঁরা জানিয়েছেন ভারতীয় ভাইদের কাছে তাঁরা চির কৃতজ্ঞ থাকবেন। আফগানিস্তানের সাধারণ হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন , 'ভারত শুধুমাত্র দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয় এমনটা নয়। আফগান হিন্দু ও শিখ ভাই যারা ভারতে আসবে তাদেরও আশ্রয় দেওয়া হবে।'
অমুসলমান নাগরিকদের নাগরিত্ব দেওয়ার জন্যউ ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে অমুসলমান সংখ্যালঘু নাগরিকদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। তবে একটি শর্ত রয়েছে, ২০১৫ সালের আগে যারা ভারতে এসেছিল তাদেরই ভারতীয় নাগরিকত্বের তকমা দেওয়া হবে।