মঙ্গলবার ভার্চুয়াল জি-৭ বৈঠকে বসছে বিশ্বের সাত দেশ। থাকছে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জরুরি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে (Afghanistan on agenda) তড়িঘড়ি বৈঠকের ডাক। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল জি-৭ বৈঠকে বসছে বিশ্বের সাত দেশ (Leaders of the G-7 countries)। থাকছে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেনের ডাকে সাড়া দিয়েই দ্রুত বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এর আগেই আফগানিস্তানে তালিবানিরাজ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ব্রিটেন। তারা যে কোনওভাবেই তালিবানদের আধিপত্য মেনে নেবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আগেই। আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক চলা অচলাবস্থার দিকে তাকিয়েই দ্রুত জি-৭ সামিটের ডাক দিয়েছে ব্রিটেন। এবার দেখার জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কী অবস্থান নেয়।
ব্রিটেনের ডাকা এই বৈঠকে তালিবানদের হাতে থাকা আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা চলবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করতে পারে জি-৭ সম্মেলনের বাকি সদস্য দেশগুলি।
তবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সোমবারই জানিয়ে দিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের ওপর আইসিস হামলার হুমকি রয়েছে। ফলে আর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করবে না মার্কিন সেনা। ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার যাবতীয় কাজ। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে বাইডেন এক বক্তৃতায় বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে ৩১ তারিখের ডেডলাইন পেরিয়ে যাবে না। উদ্ধারকাজ এরমধ্যেই শেষ হবে। ৩১ তারিখ পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালাতে দিতে সম্মত হয়েছে তালিবান প্রশাসনও বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
এদিকে, আফগানিস্তান দখল করার পরই স্বমূর্তি ধারণ করতে শুরু করেছে তালিবান। একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়েছে সেদেশে। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ছেলেদের উপরও বিভিন্ন ফতোয়া জারি করা হয়েছে। আর তা না মানলেই চলছে অকথ্য অত্যাচার। দেশের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই দেখা মিলছে বন্দুকধারী তালিবান যোদ্ধার।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি রবিবার বলেছিলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাবর্তনের জন্য ক্ষোভের সামনে পড়ছেন, এই বিষয়ে জি-৭ প্ল্যাটফর্মে আলোচনা করবেন।