তালিবান ইস্যুতে পাকিস্তানের ভালোমানুষির মুখোশ খুলে গেল, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের মিছিল

তালিবানদের আফগান জয়ের সমর্থনে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মিছিল জইস আর লস্কর জঙ্গিদের। মোল্লা বরাদরের সঙ্গে আইএসআই প্রধানের ছবি। 
 

তালিবান ইস্যুতে পাকিস্তানের ভালোমানুষির মুখোশ আবারও খসে পড়ল। এবার কিছুটা হলেও বিব্রত হওয়ার সময় এসেছে ইমরান খান-সরকারের। সোমবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তালিবানদের সমর্থনে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিয়েই কাতারে কাতারে যোগ দিতে দেখা যায় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও লস্কর-ই-তৈবার (LeT) সদস্যরা। সেই সমাবেশে আফগানিস্তানে তালিবাদের জয় উজ্জাপন করা হচ্ছিল। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা শূন্যে গুলি চালিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। দুই সংগঠনের নেতারাই এই অনুষ্ঠানে তালিবানদের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। 

এখানেই শেষ নয়, ইমরান খানের সরকারের জন্য আরও একটি বিব্রতকর ঘটনা রয়েছে। পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক একটি ছবি পোস্ট করে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে তালিবান শীর্ষ নেতা মোল্লা বরাদরের সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) প্রধান ফয়েজ হামিদ একসঙ্গে নামাজ পড়ছেন।  যা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল তালিবানদের প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ ছিল পাক প্রশাসনের। আফগানিস্তানে ক্ষমতা কায়েম করতে সবরকমের মদত দিয়েছিল পাকিস্তান। 

Latest Videos

আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা বাহিনীর প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত গতিতে তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করে নেয়। বর্তমানে শুধুমাত্র পঞ্জশিরই এমকামাত্র এলাকা যেখানে তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। আফগানিস্তানের সিংহভাগই এখন তালিবানদের দখলে। এই অবস্থায় আফগানিস্তানসহ একাধিক দেশের অভিযোর তালিবাদের এই বাড়বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ইমরান খান সরকারের হাত। যদিও বিষয়টি একাধির উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান খান সরকার। তবে তিনি ও তাঁর প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তি বলেছেন তালিবানরা মোটেও খারাপ মানুষ নয়। তারা শুধু ইসলামিক নীতির মধ্যে আফগানিস্তান শাসন করার চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের স্কুল পড়ুয়ারাও তালিবানদের খোলাখুলি প্রশাংসা করেছিল। সবমিলিয়ে তালিবান সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনির কর্তাব্যক্তি সকলেই তালিবানদের পাশে রয়েছে। 

Afghanistan Crisis: তালিবান ইস্যুতে কাঠগড়ায় পাকিস্তান, ভারতের গুণগান রিপাব্লিকান নেতার

বধ্যভূমি আফগানিস্তানে আটকে কলকাতার নার্স, দেশে ফেরাতে আর্জি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে

যদিও ২০২০ সালে তালিবানদের সঙ্গে দোহায় একাধিক চুক্তি করেই আমেরিকা সেনা প্রত্যহার করে তালিবানদের হাতে আফগানিস্তানকে তুলে দেওয়ার কথা মেনে নিয়েছিল। সেইমত দোহায় একাধিক আলোচনাও হয়েছিল তালিবান শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। তখন কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে সেই শূন্যস্থান পুরণ করতে দ্রুততার সঙ্গে পাকিস্তান নেমে পড়ে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ এই বিষয়ে সবথেকে বেশি সক্রিয় ছিল। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Bear Rescue Operation | বরফের মধ্যে ভাল্লুকের প্রান বাঁচাল ভারতীয় সেনা, দেখুন দুঃসাহসিক ভিডিও