গুহার ভিতরে আস্ত একটি প্রাচীন জঙ্গল, বিজ্ঞানীদের অনুমান থাকতে পারে অজানা পশু-পাখিও

গুহা আবিষ্কারকারীরা ১৩০ মিটার লম্বা একটি গাছের সঙ্গে সিঙ্কহোলের নিচে লুকিয়ে থাকা একটি জঙ্গল আবিষ্কার করেছেন। প্রাচীন বনটি দক্ষিণ চিনের গুয়াংজি অঞ্চলে রয়েছে।

Saborni Mitra | Published : May 23, 2022 11:29 AM IST

সিঙ্কহোলের গভীরে লুকিয়ে থাকা আস্ত একটি জঙ্গল আবিষ্কার হয়েছে চিনে। মনে করা হচ্ছে একটি প্রাচীনতম একটি গুহা। এখনও পর্যন্ত এই গুহা-জঙ্গলে পা পড়েনি কোনও মানুষের। তাই এই জঙ্গলে প্রাচীনকালে অনেক পশুপাখি থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

গুহা আবিষ্কারকারীরা ১৩০ মিটার লম্বা একটি গাছের সঙ্গে সিঙ্কহোলের নিচে লুকিয়ে থাকা একটি জঙ্গল আবিষ্কার করেছেন। প্রাচীন বনটি দক্ষিণ চিনের গুয়াংজি অঞ্চলে রয়েছে। এই এলাকা আবার সিঙ্কহোলের জন্য বিখ্যাত। যে সিঙ্কহোলটির মধ্যে জঙ্গল রয়েছে সেটি প্রায় ৬৩০ ফুট গভীর আর ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি বিস্তৃত বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

চিনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন জঙ্গলটি এমন প্রজাতির আবাস হতে পারে যা অতীতে দেখতে পাওয়া যায়নি। এই এলাকায় ৩০টিরও বেশি সিঙ্কহোল রয়েছে। বিজ্ঞানারী জানিয়েছেন যে সিঙ্কহোলে জঙ্গল দেখা গিয়েছে সেটি সাইটটিতে তিনটি গুহা আর একটি সুসংরক্ষিত আদিম বন রয়েছে। 

অভিযানকারী দলের সদস্য চেন লিক্সিন বলেছেন, 'আমি অবাক হব না এই সিঙ্কহোল জঙ্গলে এমন কোনও প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় সেগুলি আগে বিজ্ঞানে রিপোর্ট করা হয়নি।' গুয়াংজি ডেইলি প্রত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিঙ্কহোলটি বিপজ্জনক। এটি অদ্ভুদভাবে খাড়া আর দেখতে খুবই সুন্দর। এশিয়ান কেভস অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ঝাংইউয়ানহাই বলেছেন একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। আগামী দিনে এই সিঙ্কহোলটি ঘিরে পর্যটন শিল্পে বিকাশ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

আভিযানকারী দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা দড়ির মাধ্যমে গুহার ভিরতে গিয়েছিলেন। তে মাত্র ১০০ মিটার পর্যন্তই নামতে পেরেছিলেন। সেইসময় তারা ঘন জঙ্গল আর প্রচুর গাছপালা দেখতে পেয়েছেন। এটিকে তাঁদের গ্রাষ্মকালীন রেইন ফরেস্টের মতই মনে হয়েছে। গাছগুলি সূর্যের আলো পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওপর দিকে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। গাছগুলি খুবই লম্বা আর পাতলা। তবে তারা কোনও পশু বা পাখি দেখতে পাননি বলেও জানিয়েছে। 

আগামী দিনে এই এলাকা ঘিরে নতুন করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। গোটা এলাকায় নিয়ে বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন চিনা অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। সেই কারণে দ্রুত দ্বিতীয় অভিযানের পরিকল্পনাও করছেন তাঁরা। এবার তাঁরা সিঙ্কহোলের আরো গভীরে নামতে চান। সেইমত ব্যবস্থা করে দ্বিতীয়বারের জন্য অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। 

Share this article
click me!