এবারের গ্রীষ্মে রেকর্ড গড়ল অ্যান্টার্কটিকা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছল ১৮,৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

 

  • দ্রুত বাড়ছে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা
  • সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
  • এর আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
  • ২০১৫ সালের মার্চে ওই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়

Asianet News Bangla | Published : Feb 8, 2020 7:54 AM IST / Updated: Feb 12 2020, 05:51 PM IST

বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব টের পাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা। পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত এই মহাদেশ দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গলছে বরফ। যার পরিণতি যে সুখকর হবে না তা বারবার বিশ্ববাসীকে সাবধান করে দিচ্ছেন আবহবিদরা। পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা বোঝা যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রায়। 

দক্ষিণ মেরুতে এখন গৃষ্মকাল চলছে। আর এই গৃষ্মেই সবচেয়ে উষ্ণতম আবহাওয়া দেখল অ্যান্টার্কটিকা। বৃহস্পতিবার অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভোট যুদ্ধে মেজাজ হারালেন কংগ্রেস নেত্রী, আপ কর্মীকে চড় অলকা লাম্বার

বৃহস্পতিবার মহাদেশের উত্তরাঞ্চলের অকটি প্রত্যন্ত স্টেশনে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। অ্যান্টার্কটিকায় আর্জেন্টিনার এস্পেরানজার গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেন। রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল ৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এর আগে ২০১৫ সালে মার্চে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এবার তাপনাত্রা বেড়েছএ  ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এস্পেরানজার ১৯৬১ সাল থেকে অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করে আসছে। 

আরও পড়ুন: পছন্দ হয়নি কনের শাড়ি, বিয়ে বাতিল করে দিল ছেলের পরিবার

তবে আর্জেন্টিনার গবেষণা কেন্দ্রের রেকর্ড করা তাপমাত্রা এখনও যাচাই করেনি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ডব্লিউএমও। সঠিক ভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করতে অ্যান্টার্কটিকায় একটি দল পাঠাচ্ছে ডব্লিউএমও।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত উষ্ণ হয়ে ওঠা স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম অ্যান্টার্কটিকা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, গত ৫০ বচরে সেখানকার তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অ্যান্টার্কটিকার অনেক বড় হিমবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্রুত গলে যাচ্ছে। এই এক একটি হিমবাহ বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের জলস্তর ১০ ফুট বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে বহু ফকূলীয় এলাকায় জলের নিচে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। 

Share this article
click me!