চিনে কোওন ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না মারণ করোনা ভাইরাসকে। দিনে দিনেই বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল। শনিবার সকালে সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২২। শুক্রবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হুবেই প্রদেশে। গত ডিসেম্বরে প্রথম করোনা সংক্রমণ ঘটে হুবেইয়ের রাজধানী উহানে।
বর্তমানে চিনের মূল ভূখণ্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি ভাবে ৩৪,৫০০ জন। শুক্রবার নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় ৩,৩৯৯ জনের শরীরে।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে শুরু হল রাজধানীর ভোটগ্রহণ, বিশেষ নজর শাহিনবাগের দিকে
করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাঁড়িয়ে গেছে সার্সকেও। ২০০২-২০০৩ সালে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমে চিন ও হংকং-এ মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৬৫০ জনের। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে মৃতের সংখ্যা ছিল ১২০।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় হুবেই ও উহান লকডাউন করে রেখেছে চিনা প্রশাসন। ফলে আটকে রয়েছে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। উহান শহরের এক কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে নিয়মিত নিজেদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের জানাতে বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
আরও পড়ুন: বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, রবিবার ফের কমছে শহরের তাপমাত্রা
এদিকে পর্যটন শিল্পের মত এবার করোনার প্রভাব সরাসরি পড়ল গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিল হুন্ডাই। উসলান কমপ্লেক্সে গাড়ি তৈরির পাঁচটি প্ল্যান্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে তৈরি হ. বছরে ১৪ লক্ষ গাড়ি। সেই কারখানাই আপাতত বন্ধ হলো করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে। কারণ, এই সব গাড়ি তৈরির যন্ত্রাংশের একটি বড় অংশ আসে চিন থেকে। কিন্তু করোনার কারণে এখন অনেক যন্ত্রাংশ নির্মাণের কারখানাই বন্ধ রয়েছে চিনে। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাপ্লাইলাইন। সেই প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্বের গাড়ি শিল্পে। যার জন্য বন্ধ হল উসলান কমপ্লেক্সও।
হুন্ডাইয়ের মত প্রভাব পড়েছে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা কিয়ার উৎপাদনেও। হুন্ডাইয়ের সহযোগী এই সংস্থা বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম গাড়ি উৎপাদনকারী সংস্থা। আর এর প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও। ইতিমধ্যে গাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ২৫ হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছেন। আগামীদিনে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গাড়ি শিল্পরেও বড় আর্থিক ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।