
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত যিনি ছিলেন দেশের সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি, আজ তিনিই নিন্দিত খলনায়ক। ভারতের আফগান দূতাবাস আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে বলেছে 'বিশ্বাসঘাতক'। তাজিকিস্তানের আফগান দূতাবাস তার গ্রেফতারি চেয়েছে। এরইমধ্যে বুধবার তাঁর খোজ মিলেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাশাহিতে। এবার তিনি নিজেই মুখ খুললন। জানালেন, তালিবান এবং সরকারের প্রাক্তন শীর্ষকর্তাদের মধ্যে যে আলোচনা চলছে তাকে তিনি সমর্থন করেন এবং তিনি দেশে ফেরার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন।
গত রবিবার কাবুল তালিবানদের হাতে পড়ার ঠিক আগে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন ঘানি। তারপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। মনে করা হয়েছিল তিনি ওমানে গা ঢাকা দিয়েছেন। তারপর বুধবারই প্রথম জানা যায়, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজধানী দুবাইয়ে আছেন। আরব আমিরশাহির পক্ষ থেকে জানানো হয়, 'মানবিক কারণে' আশরাফ ঘানি এবং তার পরিবারকে তারা আশ্রয় দিয়েছে। এরপরই একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট। ঘানি সেই ভিডিও বার্তায় বলেছেন, 'আমি আবদুল্লা আবদুল্লা এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে (তালিবানদের) চলমান আলোচনার বিষয়ে সরকারি উদ্যোগকে সমর্থন করি। আমি এই প্রক্রিয়ার সাফল্য কামনা করি। শীঘ্রই দেশে ফিরে আসব, তার জন্য কথাবার্তা চলেছে।'
"
আরও পড়ুন - Pakistan - মহিলা টিকটকারকে নিয়ে শূন্যে লোফালুফি, ছিড়ে গেল পোশাক, কলুষিত স্বাধীনতা দিবস
আরও পড়ুন - তালিবানদের উৎখাতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে 'পাঁচ সিংহে'র উপত্যকা - জড়ো হচ্ছে নর্দান অ্যালায়েন্স
ক্ষমতা দখলের পরই তালিবানরা অবশ্য বলেছে, প্রতিপক্ষের কারোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে না এবং নারীদের অধিকারকে ইসলামিক শরিয়া আইনের কাঠামোর মধ্যে সম্মান করা হবে। কিন্তু তালিবানদের যে নৃশংস মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস রয়েছে, তাতে তাদের এই আশ্বাসে ভুলছে না কেউ। গত কয়েকদিনে তালিবান শাসনে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হাজার হাজার আফগানকে কাবুল বিমানবন্দর হয়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। এখনও বহু মানুষ দেশ ছাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ একদিকে বিদেশী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে সকলকে ক্ষমা করার কথা বলে তালিবানদের একটা নতুন ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, তখন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে বুধবারই জালালাবাদ শহরে আফগান জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে তালিবানদের।