আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দরকারে আরও একটি যুদ্ধ হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলের প্রথম সারির নেতারা।
বাংলাদেশের সমস্যা আরও বাড়তে চলেছে। সংকট আরও বাড়বে। পরিস্থিতি আরও অরাজক হবে। তেমনই দাবি করছে আওয়ামি লিগ। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দলের দাবি, দেশের জাতীয় পতাকা মুছে দিয়ে অন্য দেশের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। দেশের সার্বভৌম্যত্ব মুছে দেওয়ার চেষ্টা হলে তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করবে আওয়ামি লিগ। প্রয়োজনে লিগ রুখে দাঁড়াবে।
আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য দরকারে আরও একটি যুদ্ধ হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলের প্রথম সারির নেতারা। বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানান হয়েছে। দেশ ছাড়লেও যে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি দেশবাসীর পাশে রয়েছেন বলেও আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তারই জেরে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে হয় তাঁকে। বর্তমানে তিনি ভারতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরই বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব নেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুস। অন্যদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশের একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি। বলা যেতে পারে তাঁর সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
অন্যদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত খুব একটা শান্ত নেই বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে। বাদ যাচ্ছে না বাকি সংখ্যালগুরাও। অন্যদিকে হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই ধর্মীয় সংখ্যলঘুদের মতই আওয়ামি লিগের নেতা ও কর্মীদের ওপর অচ্যাচার অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশে।
আওয়ামি লিদের নেতা ও কর্মীদের উপর অত্যাচার করার করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার নির্যাতন করে আওয়ামি লিগকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে, তাহলে তারা ভুল করছে। তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।' বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে আওয়ামি লিগের সম্পর্কে রয়েছে। আওয়ামি লিগ আবারও ফিরে আসবে। বাংলাদেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজগুলি করবে বলেও দাবি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।