বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে জারি ভয়ঙ্কর ফতোয়া, একগুচ্ছ পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকারের!

Published : Oct 04, 2024, 11:36 AM IST
bangladesh durga puja

সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশে দুর্গাপুজো উপলক্ষে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে, তবে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে তারা নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো পালনের ব্যবস্থা করবে।

হাসিনা সরকার পতনের পরই বাংলাদেশে হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে যখন উদ্বেগে সবাই, তখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গা পুজো হবে। প্রশ্ন উঠছে নতুন এই বাংলাদেশে কি দুর্গাপুজো হবে?

বাংলাদেশে দুর্গাপুজো উপলক্ষে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে, তবে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে তারা নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো পালনের ব্যবস্থা করবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপুজো করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে, যেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রতি নজরদারি করার কথা বলা হয়েছে। পুলিশের টহল বৃদ্ধি এবং পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, যারা মণ্ডপ পাহারা দেবেন। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুজোর সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদেরই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন শিফটে তাদের এই দায়িত্বভার দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চলতি সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল যে প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজো হবে ওপার বাংলায়। বিগত কয়েক বছরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা চালানোর মতো যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তা এড়ানোর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে।

এর পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মসজিদে আজানের সময় মণ্ডপে ঢাক-ঢোল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজানের ৫ মিনিট আগেই মাইক ও যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ করতে হবে। আজান শেষের পরই ফের মাইক বা ঢাক বাজানো যাবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

আওয়ামি লিগের যোগদান নিষিদ্ধ, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা
কেমন আছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া? শুরু বিদেশ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়