
বাংলাদেশের ভোটে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের কথা যত না আলোচিত হচ্ছে তার থেকে বেশি আলোচিত হচ্ছে ভারতের বিরোধিতা। একের পর এক বাংলাদেশি নেতা ভারতের বিরোধিতাকে হাতিয়ার করেই ভোট বাক্সে বাজিমাৎ করতে বদ্ধ পরিকর। তার ব্যাতীক্রম নন বাংলাদেশের ন্যাশানাল সিটিজেন পার্টি বা NCP নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। ভোটার প্রচারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি ভারতকেই তুলোধনা করেন। একই সঙ্গে একাধিক বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহর ভাষণ
ঢাকায় একটি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ঢাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীসহ ভারতের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন শক্তিগুলিকে আশ্রয় দিতে পারে। ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে বিচ্ছিন্ন করতে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে ব্যবহার করতেও বাংলাদেশ পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হাসনাত বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিতে আশ্রয় দেব। তারপর আমরা ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করব।' এই মন্তব্যের পরই বাংলাদেশের উপস্থিত জনতা উল্লাসে ফেটে পড়েন। সেভেন সিস্টার্স হল উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্য- অসম,অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম আর নাগাল্যান্ড। এই রাজ্যগুলি বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত ভাগ করে নেয়।
ভারত দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তর-পূর্বে সক্রিয় জঙ্গিও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে উস্কানি ও মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় অশান্তের জন্য বাংলাদেশকে দায়ি করেছে। ২০০৯ সালের আগে হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতা দখলের পর পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন হয়। কিন্তু হাসিনা-জমানা শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ একাধিকবার ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে মদত দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।