
শেখ হাসিনার আমলে যে বন্দিশালায় অকথ্য অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ, বাস্তবে কি সেই আয়নাঘরের অস্তিত্ব আছে? না কি শুধুই ভিত্তিহীন অভিযোগ? এই জল্পনা ক্রমশঃ জোরালো হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২, ধানমণ্ডিতে ভাঙচুরের পর সেই ভবনের পাশেই অন্য একটি নির্মীয়মাণ ভবনের নীচে আয়নাঘরের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কিছুই পাওয়া গেল না। তবে আয়নাঘরের মতো এত গোপন কারাগার কীভাবে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের নীচে থাকবে, সেই যুক্তি বোধহয় কারও মাথাতেই আসেনি। আসলে বাংলাদেশে এখন চরম অস্থিরতা চলছে। হুজুগে মেতে আছে কট্টরপন্থীরা। শেখ ইউনূস প্রশাসনের পক্ষে উন্মত্ত জনতাকে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উল্টে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে প্রশাসন। বাংলাদেশ থেকে মুজিবের স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে।
আয়নাঘর খুঁজতে তৎপর ইউনূস সরকার
২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। তারপর থেকেই আয়নাঘর নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে গুমখুন, গণহত্যা, অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু গত ৬ মাসে আয়নাঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। গত সপ্তাহে ৩২, ধানমণ্ডির পাশাপাশি হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে উন্মত্ত জনতা। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় খবর দেওয়া হলেও দমকলের কোনও ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়নি। কিন্তু ৩২, ধানমণ্ডিতে আয়নাঘর আছে বলে সন্দেহ তৈরি হতেই সেখানে পৌঁছে যান দমকলের কর্মীরা। পাম্পের সাহায্যে নির্মীয়মাণ ভবনের বেসমেন্ট থেকে জমা জল বের করা হয়। কিন্তু সেখানে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে সন্দেহ অমূলক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আয়নাঘর কী?
বাংলাদেশে অভিযোগ উঠেছে, আয়নাঘর ছিল গোপন কারাগার। সেখানে হাসিনার বিরোধীদের আটকে রেখে অত্যাচার করা হত। কেউ সরকার বা হাসিনার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাঁকে জোর করে ধরে আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু গত ৬ মাসে আয়নাঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে এখনও আয়নাঘরের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
কোনও ছাত্র আন্দোলন নয়, ষড়যন্ত্র করে কোটি কোটি টাকা ঢেলে হাসিনা উৎখাতের ছক কষেছিল আমেরিকা
ধানমন্ডিতে মুজিবের বাড়ির নিচেই হাসিনার 'আয়নাঘর'? জল্পনা উস্কে দিচ্ছে রহস্যময় বেসমেন্ট