সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতীয় উপমহাদেশে। নির্দিষ্টভাবে বলতে হলে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি দূষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ বাংলাদেশ। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান এবং তৃতীয় ভারত। সুইৎজারল্যান্ডের দূষণ পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের নতুন রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাতাসে ভাসমান পদার্থের মাত্রা ২.৫-এর বেশি থাকা উচিত নয়। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে দূষণের মাত্রা সহনশীলতার চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশের বাতাসে ভাসমান পদার্থ ৭৯.৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে ভাসমান পদার্থের মাত্রা ৭৩.৭ মাইক্রোগ্রাম। ভারতেও বাতাসের গুণগত মান খুব একটা ভালো নয়। বিশেষ করে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দূষণের মাত্রা সহনশীলতার চেয়ে অনেক বেশি।
বিশ্বে দূষণের রাজধানী বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বায়ুদূষণের ব্যাপারে সচেতনতা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে খুব কম মানুষই পরিবেশ নিয়ে ভাবেন। বাংলাদেশে বায়ু ও জল দূষণ অত্যন্ত ভয়াবহ। এর ফলে বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়ছে। দূষণের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশে বায়ুদূষণের ফলে ২০ শতাংশ নাগরিকের অকালমৃত্যুর ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের ডিজিপি-র ৪ থেকে ৫ শতাংশ শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত চিকিৎসার খাতে খরচ হতে চলেছে।
সহনশীলতার চেয়ে অনেক বেশি নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ
বায়ুদূষণের নিরিখে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের চেয়ে খুব একটা ভালো জায়গায় নেই ভারত। বিশেষ করে রাজধানী নয়াদিল্লির অবস্থা খুবই খারাপ। ভারতের রাজধানীর বাতাসে ভাসমান পদার্থের মাত্রা ৯২.৭ মাইক্রোগ্রাম। সারা বিশ্বে যত দেশ আছে, সেগুলির মধ্যে ভারতের রাজধানীর বাতাসের গুণগত মানই সবচেয়ে খারাপ। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বায়ুদূষণের ফলে এখানকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। পাঞ্জাব-হরিয়ানায় ফসল পোড়ানো, বিভিন্ন কল-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া, ঘনবসতির ফলেই দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বায়ুদূষণ বাড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই অঞ্চলের জলবায়ুও বায়ুদূষণের জন্য কিছুটা দায়ী।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
গঙ্গা দূষণ ও ডিপ্রেশন মুক্ত সমাজ গড়তে পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ, যুবককে ঘিরে উন্মাদনা