
পলেহগাঁও আবহে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। দুই দেশই সীমান্তে তৎপর। ভারতীয় সেনাদের মধ্যে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট। এই অবস্থায় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের টার্গেট উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার বাংলাদেশ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ওপর কু-নজর দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তা তথা বর্তমান বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে থাকা আলম ফজলুর রহমান ভারত আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একধিক বিতর্কিত পোস্ট করেছেন। যার অধিকাংশই ভারত বিরোধী। এবার তিনি লিখেছেন, 'ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করা। এব্যাপারে চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলেও আমি মনে করি।' তিনি আরও বলেছেন,'যদি ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয় তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের হুমকি কি পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে কল্পনা করতে পারেন! তাই পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে... এটা একটা স্ট্রাটেজিক বিষয়। পারস্পরিক নির্ভরতার বিষয়। যদি ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তবে চীনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর পূর্ব সাত রাজ্যকে দখলে নেওয়া এটা ভারতের পাকিস্তান আক্রমণের রিজিওনাল ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া। যাতে ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করতে উৎসাহিত না হয়।'
আলম ফজলুর রহমা শুধুমাত্র যুদ্ধের কথা বলেই খান্ত হননি। তিনি ভারতের হিন্দু আর মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেও চেয়েছেন। তিনি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, '"এই উপমহাদেশে মূলত দুটি মুসলমান দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। মালদ্বীপ এতো ছোট আর সামরিক ভাবে দুর্বল যে ভারতে মুসলমানদের স্বার্থরক্ষার কোনও দায়িত্ব মালদ্বীপ পালন করতে পারবে না। তাহলে ভারতে মুসলমানদের জান এবং মাল রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে।'
বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তা পহেলগাঁও হামলার দায়ও ভারতের ওপর চাপিয়েছেন তাঁর লেখায়। পাকিস্তানকে তিনি পুরোপুরি ক্লিনচিট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'এবারে নরেন্দ্র মোদী সরকার পহেলগাঁওয়ে নিজেরা পর্যটকদের হত্যা করে পাকিস্তানের উপরে দোষ চাপিয়ে পাকিস্তান আক্রমণ করে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছে। যদি ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয় তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের হুমকি কি পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে কল্পনা করতে পারেন! তাই পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে'।
যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্টই খারাপ। আর্থিক অনটনের পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশকে অন্ন-বস্ত্রের জন্য অন্য দেশের কাছে হাত পাততে হচ্ছে। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের চরম মিত্র। কিন্তু পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থাও তলানিতে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বাংলাদেশ।