
Bangladesh Violence: শরিফ ওসমান হাদির (Sharif Osman Hadi) মৃৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকের উপর অত্যাচার করে খুনের ঘটনা ঘটল। ময়মনসিংহের (Mymensingh) ভালুকা উপজেলায় ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে দীপু চন্দ্র দাশ (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবককে প্রচণ্ড মারধর করার পর তাঁর দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার সময়। ভালুকা উপজেলার স্কোয়ার মাস্টারবাড়ি অঞ্চলের ডুবালিয়াপাড়া সংলগ্ন পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন নিহত যুবক। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা এবং তাঁর বাবার নাম রবি চন্দ্র দাশ। তাঁকে প্রথমে কারখানা থেকে বের করে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তারপর অর্ধমৃত অবস্থায় একটি গাছে ঝুলিয়ে আরও এক দফা লাঠিপেটা করার পর দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের হিন্দুদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলাম ধর্ম ও নবি সম্পর্কে কটূক্তির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বারবার সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, এমনকী খুনও করা হচ্ছে। ময়মনসিংহেও একই ঘটনা ঘটেছে। দীপুর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভালুকা থানার ডিউটি অফিসার রিপন মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'নবি সম্পর্কে কটুক্তি করার অভিযোগ ছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা গণহত্যা করেছে।' কিন্তু এভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেই গণহত্যা করা যায় কি না, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারছে না বাংলাদেশের পুলিশ ও সরকার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, নিহত দীপু বলেছিলেন, ‘সব ধর্ম সমান এবং ঈশ্বর একজনই। তিনি বিভিন্ন নামে পরিচিত।’ এতেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে খুন করা হল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।