
Bangladesh Unrest: বাংলাদেশ কি ক্রমশঃ তালিবানশাসিত (Taliban) আফগানিস্তান (Afghanistan) বা ইরান (Iran) হয়ে যাচ্ছে? হিজাব বা বোরখা পরে বাড়ির বাইরে না বেরোলে সংখ্যালঘু মহিলাদের মারধর করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী আধুনিক পশ্চিমী পোশাক পরে টোটো করে কোথাও যাচ্ছিলেন। তাঁর মুখে মাস্ক ছিল। পথে একদল উন্মত্ত লোক টোটো থামিয়ে ওই তরুণীকে ঘিরে ধরে তাঁকে মারধর করতে থাকে। অনেকে টোটোয় উঠেও পড়ে। তারা ওই তরুণীকে চড় মারতে থাকে, গলা টিপে ধরে, লাথিও মারে। ওই তরুণী খ্রিস্টান বলে জানা গিয়েছে। তিনি নিজের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরেছিলেন। কিন্তু মৌলবাদীদের কাছে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত পছন্দ বলে কিছু নেই। তাদের দাবি, সবাইকে হিজাব বা বোরখা পরতে হবে। এই কারণেই আধুনিক পোশাক পরা তরুণীকে মারধর করল মৌলবাদীরা।
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপট শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণরোষে হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর থেকে মৌলবাদীদের অবাধ বিচরণ দেখা যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশেই সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে। ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে সংখ্যালঘু পুরুষদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে খুনও করা হচ্ছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহের (Mymensingh) ভালুকা উপজেলায় ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দীপু চন্দ্র দাশ (৩০) নামে এক যুবককে মারধর করার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে খুন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মৌলবাদীদের কাছে নতিস্বীকার করেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী হিংসা থামানোর জন্য কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারছে না। বিনা বাধায় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে মৌলবাদীরা। সারা বাংলাদেশেই এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।