Bangladesh News: ভারতের বন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির পরই এবার পাল্টা পদক্ষেপ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের। এবার বন্ধ হয়ে গেল বাংলাদেশের আরও তিন স্থলবন্দর। বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
অতি সম্প্রতি ভারতের বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার পাল্টা তিনটি স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো ইউনূস সরকার। সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ভারতের সীমান্তবর্তী তিনটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।
25
বন্ধ হচ্ছে ভারতের সীমানা ঘেঁষা বন্দর
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের তরফে রংপুরের নীলফামারিতে চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দফতরে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠকও বসেছিল। সেখানেই বন্দরগুলির জন্য নির্ধারিত কমিটি পরিষদকে এই বন্ধের সুপারিশ করে। যাতে সম্মতি জানায় পরিষদ। আর তারপরই ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া বন্দরগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
35
কোন কোন বন্দরে বন্ধ হচ্ছে বাণিজ্য?
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পরিষদ কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তে এই মুহুর্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের হবিবগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দর। কোচবিহারের হলদিবাড়ি লাগোয়া চিলাহাটি বন্দর। এবং নদীয়া জেলা লাগোয়া দৌলতগঞ্জের বন্দর।
সূত্রের খবর, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সেদেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর নিয়ে আর্থিক সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল। আর সেই সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই বন্দরগুলিকে কার্যত অকেজো বলে দাবি করেছে ইউনূস প্রশাসনের কর্তারা। তারপরই বন্দরগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।
55
কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত?
জানা গিয়েছে, এই আটটি স্থলবন্দর খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে ইউনূস সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, দেশের গুটিকয়েক নেতাদের জন্য এই বন্দরগুলি এতদিন ধরে ব্যবহার হত। যা আদতে সরকারের কোনও কাজে আসে না। বরং আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে এই বন্দরগুলি অতিদ্রুত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।